আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান সাবেক সরকারের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি পালালে রক্তপাত ছাড়া । এত দ্রুত গতিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি দেশটির রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে তা পূর্বে কেউ অনুমান করতে পারেনি।
এরপর পাঞ্জশির দখলে নিয়ে পুরো দেশে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তালেবান। গঠন করে সরকার। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো দেশ অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার সাহস দেখায়নি। এমনকি তালেবানের মিত্র হিসেবে বিবেচিত পাকিস্তানও সে পথে হাঁটেনি। এমন পরিস্থিতিতে তুরস্কেরও আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে কোনো তাড়া নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু।
তুরস্কের গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এ তথ্য জানায়।
চাভুসগ্লু বলেন, তালেবানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে তুরস্কের তাড়া নেই। আঙ্কারা ধীরে ধীরে দেশটিতে নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ২০২২ সালের বাজেট উপস্থাপন করেছেন।
এ সময় তুরস্কের পররাষ্ট্র নীতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে চাভুসগ্লু বলেন, তুরস্ক আফগানিস্তান ইস্যুতে উদাসীন থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক বন্ধন ছাড়াও অন্যান্য বেশকিছু বিষয়ে আমাদের মধ্যে সম্পৃক্ততা রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ, অভিবাসন ও মাদকের হুমকি উৎসস্থলে নির্মূল করতে হবে এবং অর্থনৈতিক পতন ও মানবিক সংকট রোধ করতে হবে। যদি উৎসস্থলে এর সমাধান করা না যায় তবে এর কারণে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণেই আমরা তালেবানের সঙ্গে ধীরে ধীরে সম্পৃক্ত হচ্ছি। আমাদের কোনো তাড়া নেই।
এর আগে চাভুসগ্লু বলেছিলেন, তালেবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া এবং তাদের স্বীকৃতি দেওয়া এক বিষয় নয়।