মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীন প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে বড় ধরনের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।
(৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার পেন্টাগন জানিয়েছে, ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারের ২৮০টি আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করা হবে উপসাগরীয় দেশটির কাছে।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের বিমান হামলার নিন্দায় সরব মার্কিন আইনপ্রণেতারা। সৌদির অব্যাহত বিমান হামলায় ও সংঘাতে প্রতিবেশী দেশটিতে চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। মার্কিন অস্ত্র বেসামরিক নাগরিক হত্যায় ব্যবহার হবে না—এমন নিশ্চয়তা ছাড়া রিয়াদের কাছে সামরিক অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যরা।
এই অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা কংগ্রেসকে জানিয়েছে পেন্টাগন। যদি আইনপ্রণেতারা অনুমোদন দেন, তবে বাইডেন প্রশাসনের অধীন সৌদির সঙ্গে প্রথমবারের মতো কোনো অস্ত্র বিক্রির চুক্তি হবে। অথচ উপসাগরীয় মিত্রের কাছে কেবল আত্মরক্ষামূলক অস্ত্র বিক্রির নীতি গ্রহণ করেছেন জো বাইডেন।
গেল ২৬ অক্টোবর এই অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক মুখপাত্র বলেন, গেল বছরে সৌদি আরবে আন্তঃসীমান্ত হামলা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আকাশ থেকে আকাশে হামলার যোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসব ক্ষেপণাস্ত্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রেইথিওন টেকনোলজিস। এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইয়েমেন যুদ্ধের অবসানে কূটনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের সঙ্গে এই অস্ত্রবিক্রি সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবকে থেকে লেবাননের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার
তিনি বলেন, ইরান-সমর্থিত হুতিদের হামলা থেকে সৌদির আত্মরক্ষায় ভূমিকা রাখবে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সময় রিয়াদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল ওয়াশিংটনের। কিন্তু সৌদিকে প্রশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনকে নতুন করে হিসাব কষতে হয়েছে।
সৌদিতে বিক্রি হতে যাওয়া নতুন অস্ত্রের প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে, ২৮০টি এআইএম-১২০সি-সেভেন/সি-৮ অত্যাধুনিক মাঝারি-পাল্লার আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র (এএমআরএএএম), ৫৯৬টি এলএইউ-১২৮ মিসাইল রেইল লাঞ্চার (এমআরএল)। এছাড়া এ সংক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতিও রয়েছে।
সৌদি আরবের ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের উদ্বেগ রয়েছে। আবার মার্কিন মিত্র দেশটিতে ইরানের হুমকি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে তাদের।