দফায় দফায় বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান ‘স্বৈরাচারী সরকার’ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে জনস্বার্থকে তাচ্ছিল্য করে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়িয়ে আসছে। এই মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে দুর্গতির শেষ থাকবে না।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, গত পরশু (বুধবার) রাতে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম শতকরা ২৩ ভাগ বাড়িয়ে প্রতি লিটারের দাম ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর এক দিন যেতে না যেতেই গতকাল (বৃহস্পতিবার) এলপি গ্যাসের দাম ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়িয়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫৯ টাকা থেকে ১ হাজার ৩১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ৪ মাসে এলপি গ্যাসের দাম ৪৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ বাড়ানো হলো। গত জুলাই মাসে এর মূল্য ছিল ৮৯১ টাকা। এই মূল্যবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে ‘চেইন রি–অ্যাকশন’ সৃষ্টি করবে।
অর্থনীতির সাবেক শিক্ষক মির্জা ফখরুল বলেন, ডিজেল, কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের এই মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে দুর্গতির শেষ থাকবে না। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাবসহ মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষ ভয়াবহ দুর্ভোগের মধ্যে পড়বে। এই মূল্যবৃদ্ধির দুর্বিষহ প্রভাব অর্থনীতির সব খাতেই পড়বে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এমনিতেই বর্তমানে চাল, ডাল, আটা, চিনি, ভোজ্যতেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধিতে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনে এখন ত্রাহি অবস্থা। তাঁরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষি ও শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামহীনভাবে বাড়বে।
বিএনপির মহাসিচব বলেন, প্রকৃতপক্ষে জনগণকেই শক্রপক্ষ বলে মনে করে এই ‘গণবিরোধী’ আওয়ামী লীগ সরকার। বিবৃতিতে কেরোসিন, ডিজেল, জ্বালানি তেল ও এলপি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।