৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এই ঘোষণার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ মিলিয়ন শিশুকে টিকা দেওয়ার পথ সুগম হলো বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরই ৫ থেকে ১১ বয়সী শিশুদের জন্যে পর্যাপ্ত ডোজের টিকা সংগ্রহ করে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে পাঠানো শুরু হয়েছে। এদিকে এমন সিদ্ধান্তের পর হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, আজ আমরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশে পৌঁছে গেছি।
বাইডেন আরও বলেছেন, অল্পবয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার এই পদক্ষেপ অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে যে উদ্বিগ্ন সময় পার করছিলেন তার অবসান ঘটাবে। সেই সঙ্গে শিশুদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসরোধে কাজ করবে। করোনাভাইরাসকে পরাজিত করার লড়াইয়ে এটি আমাদের জাতির জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি শিশুর জন্য পর্যাপ্ত টিকা মজুত করেছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা লাখ লাখ ডোজ করোনার টিকা প্যাকিং এবং শিপিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।’ বাইডেন বলেন, ‘আগামী দিন থেকেই টিকার কার্যক্রম শুরু হবে তবে ৪ নভেম্বরের পরে সম্পূর্ণরূপে চালু হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে। বড়দের ক্ষেত্রে প্রতিটি টিকা ৩০ মাইক্রোগ্রাম থাকলেও শিশুদের ক্ষেত্রে ১০ মাইক্রোগ্রাম থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।
এর আগে অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ ও খাদ্য প্রশাসনকে দেওয়া এক নথিতে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের শরীরে ফাইজারের টিকা প্রায় ৯১ শতাংশ কার্যকর বলে জানিয়েছিল ফাইজার-বায়োএনটেক।
দুই হাজার ২৬৮ শিশুর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া এক নথিতে এ তথ্য দেয় তারা।
ফাইজার-বায়োএনটেকের দাবি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো দুই হাজার শিশুর মধ্যে বাছ-বিচার ছাড়াই অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে, আবার কাউকে সান্ত্বনা ওষুধ ‘প্লাসেবো’ দেওয়া হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাসেবো পাওয়া ১৬টি শিশু আর টিকা পাওয়া শিশুদের মধ্যে মাত্র তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ পর ওই শিশুদের শরীরে ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে দাবি করে ফাইজার-বায়োএনটেক।