আপিল নিষ্পত্তির আগে যশোরে ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
জেল আপিল শুনানি ও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা নাকচের পরই তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। ঘটনা ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন। চুয়াডাঙ্গায় খুন হন ইউপি মেম্বার মনোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় ২০০৮ সালে ১৭ এপ্রিল মোকিম, ঝডুসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। ২০১৩ সালে মোকিম ও ঝড়ুর ফাঁসি বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এরপর আপিল করে তাদের পরিবার।
৩ নভেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য আসে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়। আসামির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন মামলার আইনজীবী হুমায়ুন কবীর। তখনই জানা যায় ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে তাদের।বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। জানান, আপিল নিষ্পত্তির আগে ফাঁসি কার্যকরের তথ্য সঠিক নয়। আমার কাছে যে তথ্যাদি আছে সেটার সঙ্গে যে খবর প্রকাশ হয়েছে তার কিন্তু কোনো মিল নেই।মন্ত্রী বলেন, জেল আপিল শুনানির পর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা নাকচ করার পরই দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেল আপিলটা আপিল বিভাগে শুনানির পরে তাদের যে বিচারিক আদালতে এবং হাইকোর্টের দণ্ডাদেশ পরে সেটা বহাল রাখা হয় এবং বহাল রাখার পরে আসামিদ্বয় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চান। সেটাও নাকচ করার পর রায় কার্যকর করা হয়।
এদিকে সব ধাপ শেষ করেই যশোরে দুই জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং অ্যাটর্নি জেনারেল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একদম যথাযোগ্য নিয়ম অনুসারে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। প্রতিটি ধাপ মেনেই কাজ করা হয়েছে। আমাদের জানা মতে তাদের কোনো আপিল আমাদের কাছে বা কারাকর্তৃপক্ষের কাছে পেনডিং ছিল বলে জানা ছিল না।
এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান ভুক্তভোগীদের পরিবার। আগামী সপ্তাহে হবে নিয়মিত আপিল আবেদনের শুনানি।