চীনের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কয়েক ঘণ্টার জন্য আটকে রাখা হয়েছে এক কর্মীর শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায়।
স্কুল থেকে এসময় কাউকে বের হতে কিংবা সেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষক বাইরে এসে অভিভাবকদের বলেন, স্কুলের ভিতরেই শিশুদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। পরের দিন করোনার ফল হাতে পাওয়ার পরেই তারা বাড়ি ফিরতে পারবে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পরে অভিভাবকরা স্কুলে এসে সন্তানদের জন্য উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর শিক্ষার্থীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, টেস্টের ফল না পাওয়া পর্যন্ত তারা যেন সারা রাত স্কুলেই অপেক্ষা করে।
৩৫টি শিশুকে স্কুলের ভেতরে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছিল বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে। এর মধ্যে স্কুলের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। স্কুলটি আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মহামারির প্রকোপ রোধে চীনে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে কঠোর লকডাউন, সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া। যা অনেক পশ্চিমা দেশের গৃহীত পদক্ষেপের বিপরীত। এমনকি এশিয়ার অনেক দেশেও এখন ধীরে ধীরে সবকিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে।
প্রায় দুবছর আগে করোনার প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকেই চীনে কঠোরভাবে জিরো-কোভিড নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এই নীতিতে কোনো ধরনের পরিবর্তন হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।