বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জরুরিভিত্তিতে ভারতীয় কোভ্যাক্সিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে । এর মানে দাঁড়াচ্ছে, অন্যান্য দেশের কাছ থেকে ভারতের উৎপাদিত টিকার স্বীকৃতি মিলেছে।
এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই অনুমোদনের ফলে টিকা নেওয়া ভারতীয়দের বিদেশে ভ্রমণে কোয়ারেন্টিন কিংবা বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে হবে না। চার সপ্তাহের ব্যবধানে সব বয়সীদের কোভ্যাক্সিন ব্যবহারের অনুমোদন আগেই দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু শিশুদের এই টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সুপারিশ করা হয়নি। নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার মূল্যায়নে অন্তঃসত্ত্বাদের কোভ্যাক্সিন দেওয়া যাবে কি না, সে বিষয়ে কোনো পর্যাপ্ত তথ্য নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা প্রতিরোধে কোভ্যাক্সিন যথাযথ মান বজায় রাখছে বলে কারিগরি উপদেষ্টা গ্রুপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঝুঁকির বিবেচনায় এই টিকার উপকারিতাই বেশি হবে।-খবর এনডিটিভির
কোভ্যাক্সিনের পর্যালোচনা করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটির প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞদের কৌশলগত উপদেষ্টা গ্রুপ এসএজিই। এতে চার সপ্তাহের বিরতিতে ১৮ বছর থেকে সব বয়সীদের টিকার দুটি ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চৌদ্দ কিংবা তার চেয়ে বেশি দিনে করোনার যে কোনো তীব্রতার বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন ৭৮ শতাংশ কার্যকর বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। টিকার ঘাটতি পূরণে নিম্ন ও মধ্য-আয়ের দেশগুলোর জন্য এটি উপযুক্ত হবে।
ভারত বায়োটেক বলছে, এই অনুমোদনের মাধ্যমে ভারতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত নিরাপদ ও কার্যকর টিকার বৈশ্বিক প্রবেশ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা টিকার বৈশিষ্ট্য ও নিরপত্তা মান বজায় রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশ্লেষণও তাই বলছে।