বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রায়ই বলে থাকে, বিএনপি তো নেই, শেষ। কিন্তু কোনো একদিন আওয়ামী লীগের কোনো এক নেতা বিএনপি সম্পর্কে না বললে তাঁদের সকাল শুরু হয় না।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ৭ নভেম্বর ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী দিনগুলোতে গণতন্ত্রকে পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কথা বলার অধিকার, মানুষের চিন্তার অধিকার, দেশের মানুষকে সার্বিকভাবে মুক্ত করতে হবে। যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের অধীনে কোনোভাবে এই পরিবর্তন সম্ভব নয়। কারণ, তারা গণতন্ত্র হত্যা করার জন্য দায়ী। ২০০৮ থেকে তারা এই পর্যন্ত গণতন্ত্রকে হত্যা করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে। তারা কখনো ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবে না। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের মানুষের কাছে এখন একটাই চ্যালেঞ্জ। সেটা হচ্ছে দেশের দুর্নীতি, গুম, খুন, রাহাজানি, চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি পেতে হলে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেও কিছু না, না নিলেও কিছু না। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারা এমন অনেক কথা বলেন। তাদের নেতারা বলেছিলেন, যে দেশে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায়, সে দেশে করোনা কিছুই করতে পারবে না। পরে সেই নেতারাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা বলে, বিএনপিকে কেউ সংলাপে ডাকে না। তাহলে নির্বাচনের আগে এত চেষ্টা-তদবির করে ড. কামালের মাধ্যমে কে ডেকে ছিল?’