ন্যাটোর হুমকি মোকাবিলায় সীমান্তে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা জোটের বিরুদ্ধে সীমান্তে দ্রুত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর সামরিক মহড়ার কঠোর সমালোচনা করেন পুতিন। বলেন, বাল্টিক অঞ্চলে ন্যাটোর সামরিক তৎপরতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
সোমবার পর্যটন শহর সোচিতে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদার বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্প্রতি বাল্টিক সাগরে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সামরিক তৎপরতা বাড়ানোর পর এই বৈঠক করেছেন পুতিন।
বৈঠকে রুশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ন্যাটোর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানান তিনি। পুতিন বলেন, রাশিয়ার সীমান্তে পশ্চিমা দেশগুলো যেভাবে তাদের সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে তাতে মস্কো কোনোভাবেই চুপ করে বসে থাকতে পারে না।
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আমরা খুব ভালো করেই জানি, কিছু দেশ নিয়ম লঙ্ঘন করে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে। তাদের এ ধরনের তৎপরতা আমরা মেনে নেব না। তারা যেভাবে আমাদের সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করছে এটা কোনোভাবেই আমরা এড়াতে পারি না। রাশিয়াও অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করবে। আমাদের প্রতিক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। বর্তমান রাজনৈতিক এবং সামরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ করে ন্যাটো যেভাবে তাদের তৎপরতা শুরু করেছে তাদের আমাদের বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
এ সময় কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন নৌবহরের তীব্র সমালোচনা করে পুতিন বলেন, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি। তাদের সামরিক মহড়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন পুতিন।
সূত্র রয়টার্স ।