রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:২২ অপরাহ্ন

ভোটে সহিংসতা নিয়ে বিব্রত ইসি: সিইসি

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১
  • ১২ Time View

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশন বিব্রত ও উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, সহিংসতা ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠপর্যায়ে দিকনির্দেশনা দেবে ইসি।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা বেড়ে যাচ্ছে, সেটা ঠিক। নির্বাচনের ব্যাপারে মাঠপর্যায়ে কী ধরনের নির্দেশনা দেওয়া দরকার, সেটি নিয়ে তাঁরা চিন্তাভাবনা করছেন। আগামীকাল বুধবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা বিস্তারিত আলোচনা করবেন।

মাঠপর্যায়ে কি ইসির নিয়ন্ত্রণ নেই?—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, তাঁদের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আছে। রাজনৈতিক দল, ভোটার ও প্রার্থীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। মাঠপর্যায়ে সহনশীলতা না থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, প্রতিযোগিতামূলক হবে, কিন্তু প্রতিহিংসামূলক হবে না। সবার প্রচেষ্টার মাধ্যমে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

সিইসি বলেন, অভিযোগ পেলেই ইসি ব্যবস্থা নেয়। অন দ্য স্পট যতগুলো ফৌজদারি ঘটনা ঘটে, সেগুলোর বিষয়ে প্রস্তুতি থাকে না। হঠাৎ ক্রিমিনাল অফেন্স ঘটে যায়। তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এসব ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত হয় না এবং হঠাৎ ঘটে যায়। যে কারণে প্রশাসন আগ থেকে তা জানতে পারে না। ফৌজদারি যেসব ঘটনা ঘটে, সেগুলো সেই ফৌজদারি আইনে নির্ধারিত হবে। এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে।

রাজনৈতিক দলের ভূমিকা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা দরকার। নির্বাচনের বিষয়টি শুধু নির্বাচন কমিশনের না, এটা সবারই। ইসি তার ব্যবস্থাপনায় থাকে শুধু। সুতরাং তারা আরও ‘প্রো–অ্যাকটিভ’ হলে এগুলো কমে আসবে। এখন রাজনৈতিক দলের যে ভূমিকা, তা তারা পজেটিভ দেখছেন না।

শরিয়তপুরে কয়েকজন প্রার্থীর স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, এই বিষয়ে কমিশনের একজন যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মাঠপর্যায়ে এ বিষয়গুলো মূলত নিয়ন্ত্রণ করেন পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা। ইসি তাঁদের উদ্দেশে বার্তা দিতে চায়, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে এর দায় তাঁদের ওপরেই বর্তাবে। তাঁদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও ভোটারদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 Jagoroni TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com