প্রথম ওভারেই রেজা হেনড্রিকসকে ফিরিয়েছে তাসকিন।ব্যাট হাতে হতাশার দিনে বল হাতে ভালো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ।
রাবাদা-নর্টজেরা যে উইকেটে গতির ঝড় তুলেছেন, টুর্নামেন্টের অন্যতম সর্বোচ্চ গতির বোলার তাসকিনই বা বাদ যাবেন কেন! প্রথম দফা পরাস্ত করেও অবশ্য হেনড্রিকসের উইকেট পাননি। তবে ওভারের শেষ বলে পেলেন সেটা।
ব্যাক অব আ লেংথ থেকে ভেতরের দিকে ঢোকা বলের গতি ছিল ঘণ্টায় ৮৮ মাইল, হেনড্রিকস মিস করে গেছেন সেটা। আম্পায়ার পল রাইফেলের এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেননি। ৬ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ৮ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারো লজ্জার রেকর্ড গড়ে মাহমুদউল্লাহরা। মাত্র ৮৪ রানেই অলআউট। টানা তিন ম্যাচ হারার পর শেষ দুই ম্যাচ ভাবা হচ্ছিল সম্মান রক্ষার ম্যাচ হিসেবে। তবে মাঠের গল্প যেন একই। আর তাই বলাই যায়, প্রতিপক্ষ বদলায়, মাঠ বদলায়, কিন্তু বদলায় না বাংলাদেশের খেলা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে নেমে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) যেন উইকেট শিকারের উৎসবে মেতেছিল রাবাদারা। প্রোটিয়া পেসার কেশব মহারাজের ওভার দিয়ে শুরু হয়েছিল টেম্বা বাভুমাদের বোলিং।
বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং নাঈম শেখও ধীরলয় ব্যাটিংয়ে টিকে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু কাগিসো রাবাদার ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভার আর ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ দুই বলে টানা দুটি উইকেট হারাল টাইগাররা।
রাবাদার প্রথম শিকার নাঈম শেখ। তিনি ফিরেছেন ১১ বলে ৯ রান করে। অন্যদিকে, ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ সৌম্য সরকার। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে গেছেন তিনি। তবে ভাগ্য ভালো এদিন তিনি বেশি বল খরচ করতে পারেননি। এক বল খেলেই ফিরে গেছেন।
এদিকে, মুশফিকও তিন বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে গেছেন। এরপর হতাশ করেছেন মাহমুদউল্লাহ-আফিফরাও। যেন এমন হওয়ারই কথা ছিল। এনরিক নর্টজের পেস ও বাউন্স সামলাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। শর্ট অব আ লেংথ থেকে বাউন্স করা বল ছিল মাহমুদউল্লাহর মাথা বরাবর, ব্যাট তুলতে পারেননি। বাংলাদেশ অধিনায়কের গ্লাভস ছুঁয়ে যাওয়ার পর সেটা আঘাত করেছে কাঁধে, এরপর গেছে পয়েন্টে এইডেন মার্করামের হাতে।
পরের ওভারের প্রথম বলে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে পুরোপুরি মিস করে গেছেন আফিফ হোসেন। হারিয়েছে স্টাম্প। ২ বলের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারিয়েছে আরও দুই উইকেট।
বিশ্বসেরা বোলার রাবাদার প্রিয় প্রতিপক্ষ যেন বাংলাদেশ। নিজের অভিষেক ম্যাচেও টাইগারদের বিপক্ষে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে রাঙিয়েছিলেন। এবার বিশ্বমঞ্চেও বলতে গেলে মাহমুদউল্লাহদের কোমড় ভেঙে দিয়েছেন তিনি। এদিন তার ৪ ওভারের স্পেলে ১৪টি ডট দিয়েছেন, ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এক প্রান্তের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে আরেক প্রান্ত আগলে রাখছিলেন লিটন দাস। তবে টি-টোয়েন্টির এক নাম্বার বোলারের সামনে তিনিও টিকতে পারলেন না। তাবরেজ শামসির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৩৬ বলে ২৪ রান করে ফিরে গেছেন। শামসির দ্বিতীয় শিকার বিশ্বকাপে অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারী। ২০ বলে ১১ করে ফিরে গেছেন এই তরুণতুর্কি।