অর্থপাচারের মামলায় আলোচিত গোল্ডেন মনিরের সহযোগী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, গোল্ডেন মনিরের সহযোগী রিয়াজ উদ্দিন ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের পিয়ন পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি সোনালী ব্যাংকের এয়ারপোর্ট শাখায় কর্মরত থাকাকালে মনির হোসেনের সাথে স্বর্ণ চোরাচালানের অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন এবং চাকরি ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি জানান, মনির হোসেন, হায়দার আলী ও শফিকুল সংঘবদ্ধভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের আয় থেকে অপর অভিযুক্তদের সাথে ঢাকার উত্তরায় অনেক প্লটের মালিক হন। এছাড়াও তার নামে শেয়ার ও মেসার্স সিয়াম ফেব্রিকস লিমিটেডের মালিকানা আছে। রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে আরো দুটি মামলা আছে।
গত ১১ মে সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন গোল্ডেন মনিরসহ ১০ জনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানান একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এদিকে গত ২৩ আগস্ট ভাটারা থানার অস্ত্র আইনে করা মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২০২০ সালের ২০ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডায় মনিরের বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব। ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা ৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ও নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
এরপর অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা এবং মাদক আইনের পৃথক তিন মামলায় ২৭ দিনের রিমান্ড শেষে গোল্ডেন মনিরকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারেই রয়েছেনে।