জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মেয়রের পদ ব্যবহার করে ব্যবসায়ীদের চাপে ফেলে বিভিন্ন সময় হয়রানি করার অভিযোগ ছিল। এসব অভিযোগের কথা সরকার ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বকেও জানিয়েছিলেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের অনেকে। এর মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে একজন নেতাও জাহাঙ্গীরের পক্ষে কথা বলেননি। এ বৈঠকেই তাঁর ‘ভাগ্য’ নির্ধারিত হয়।
সরকার ও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের রাস্তা সম্প্রসারণে বিনা ক্ষতিপূরণে জমি অধিগ্রহণের জন্য লিখিত অঙ্গীকারনামা দিতে কারখানা কিংবা জমির মালিকদের অনেকটা বাধ্য করতেন মেয়র জাহাঙ্গীর। অঙ্গীকারনামা না দিলে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না করাসহ নানা ধরনের ঝামেলায় ফেলতেন। একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এ রকম একটি অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়। বিষয়টি তিনি মন্ত্রিসভার এক সদস্যকে জানান এবং অঙ্গীকারনামার অনুলিপিও দেন।
ওই অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ ছিল, ওই ব্যবসায়ীর কারখানার পাশের রাস্তাটি ভবিষ্যতে ৪০ ফুট থেকে ৮০ ফুট সম্প্রসারণ করা হলে বিনা ক্ষতিপূরণে তিনি কারখানার জমি ছেড়ে দেবেন তিনি। কোনো স্থাপনা থাকলে নিজ খরচে অপসারণ করে নেবেন। কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন না।
দলীয় সূত্র বলছে, বিভিন্ন কারখানার বিরোধ মেটানোর নাম করেও ব্যবসায়ীদের হয়রানি করতেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া গাজীপুরে প্রচুর ওয়াজ মাহফিল হয়। এসব মাহফিলের অনেকগুলোতে সরকারের নীতিবিরোধী বক্তৃতা দেওয়া হতো। এসব ওয়াজ মাহফিল আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা দিতেন জাহাঙ্গীর। এসব বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনও দেওয়া হয়েছে।