আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের শব্দবাজি বেচাকেনা নিষিদ্ধ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যটির হাইকোর্ট।
অন্যদিকে শব্দবাজি বন্ধ হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। এ ছাড়া শব্দবাজি বিক্রি বন্ধে পুলিশকে আরও কঠোর হতে নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারক।
কালীপূজা, দীপাবলি, ছটপূজা, জগধাত্রীপূজা, বড়দিন কিংবা বর্ষবরণের রাতে কোনো রকম আতশবাজি পোড়ানো যাবে না ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার এ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে দীপাবলির রাতে শুধু মোমবাতি কিংবা সলতের প্রদীপ জ্বালানো যাবে।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ভারতের আলোর উৎসব দীপাবলি। কোটি কোটি টাকার আতশবাজি পোড়ানো হয় সেই রাতে। এত সংখ্যক শব্দবাজির আলো তৈরি হয় যে মহাকাশ থেকে তোলা ছবি পর্যন্ত ভাইরাল হয় প্রতি বছর। আতশবাজির পোড়ানোর কারণে একদিকে যেমন পরিবেশদূষণ হয়, অন্যদিকে বিকট শব্দে অসুস্থ হয় মানুষ। এসব বিবেচনায় কলকাতা হাইকোর্ট এ রায় দিয়েছেন। যদিও হাইকোর্টের রায় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে।
শুধু পরিবেশ দূষণই নয়, আতশবাজি বন্ধ হওয়ার পেছনে করোনা বেড়ে যাওয়াও বড় কারণ বলে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশনায় বলা রয়েছে।
এর আগে ভারতের তামিলনাড়ুতে একটি আতশবাজির দোকানে বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) কাল্লাকুরিছি জেলার সানকারাপুরাম শহরের একটি দোকানে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে নিহতরা দোকানের মালিক ও কর্মচারী। দিওয়ালিকে সামনে রেখে দোকানে আতশবাজি মজুত করা হয়েছিল।
বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। হঠাৎ বিস্ফোরণের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন। বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।