সম্প্রতি আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যমে সাম্প্রদায়িক হামলা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে নোয়াখালীর চৌমুহনী ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় মন্দির প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, আন্তর্জাতিক ওই সংবাদমাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন দেশে সাম্প্রদায়িক হামলায় তেমন বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। এমনকি চৌমুহনীতে কোনো লোক হামলায় মারা যাননি। তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীরা হতবাক হয়েছেন তার এমন বক্তব্যে।
এসময় তারা চৌমুহনীতে কীভাবে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট এবং হত্যা হয়েছে তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বচক্ষে এসে দেখে যাওয়ারও অনুরোধ করেন। তার এমন বক্তব্য খুনি ও দুষ্কৃতিকারীদের আড়াল করবে বলেও আশঙ্কা করছে ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ।পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য দ্রুত প্রত্যাহারের পাশাপাশি সঠিক বক্তব্য উপস্থাপনের দাবিও জানানো হয় ইসকন মন্দিরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে।আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক বিনয় কিশোর রায়, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট পাপ্পু সাহা ও ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ রসপ্রিয় দাস প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন একটি বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, ‘দেশে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সময় কেউ ধর্ষিত হননি এবং একটি মন্দিরেও অগ্নিসংযোগ কিংবা ধ্বংস করা হয়নি। ধর্মীয় সহিংসতায় এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়জন মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন মুসলমান, আর তারা হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। দুজন হিন্দু মারা যান, তাদের মধ্যে একজনের সাধারণ মৃত্যু হয়েছে। অন্যজন ডুবে মারা গেছেন।
’শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) টাইমস অব ইন্ডিয়া, টাইমস নাউ, হিন্দুস্তান টাইমসসহ ভারতের প্রথম সারির কয়েকটি সংবাদমাধ্যম পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বিবৃতি ফলাও করে প্রকাশ করে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানায় ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ।