টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে (২৯ অক্টোবর) শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৪৩ রানের জবাবে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। প্রথমে চমক জুটি সাকিব-নাঈমকে হারানোর পরও ভালোই খেলছিল বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার আউট হয়ে গেলে রভি রামপালের বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
মুশফিক আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৮ রানে। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ তখন ৯০। এখন ১৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১০ রান।
নাঈম শেখের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি তার। ব্যক্তিগত ৯ রানে আন্দ্রে রাসেলের বলে হোল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাকিব। সাকিবের পর মোহাম্মদ নাঈম ও সৌম্য সরকারও ফিরে যান কিছু সময় ব্যবধানে। সাকিব ৯, নাঈম ও সৌম্য ১৭ রান করে তুলেন।
এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয় শিবিরে শুরুতে আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। এভিন লুইসকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করেন কাটার মাস্টার।
এরপর ক্রিস গেইলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান মেহেদী হাসান। ব্যক্তিগত ৪ রানে মেহেদীর শিকার হন গেইল। মেহেদী শিমরন হ্যাটমায়ারকেও সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান। ফেরার আগে শিমরন করেন মাত্র ৯ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে ক্যারিবীয় শিবিরকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। ১৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৬৪ রান তুলে উইন্ডিজ। কেইরন পোলার্ড রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে গেলে আন্দ্রে রাসেলকে রান আউট করেন তাসকিন আহমেদ। পোলার্ড ৮ ও রাসেল শূন্য রানে ফিরে যান সাজঘরে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেই চাপ সামলে উঠে নিকোলাস পুরান ও রোস্টন চেজের ব্যাটে ভর করে। দু’জন মিলে গড়ে তুলেন ৫৭ রানের জুটি। এ সময় শরিফুল ইসলামের বলে আউট হন হার্ডহিটার ব্যাটার নিকোলাস পুরান। পরের বলে শরিফুল ফিরিয়ে দেন রোস্টন চেজকেও। চেজকে সরাসরি বোল্ড করেন বাংলাদেশ তরুণ পেসার। ফেরার আগে নিকোলাস ২২ বলে এক চার ও ৪ ছয়ে করেন ৪০ রান। চেজ করেন ৩৯ রান। শেষ দিকে জেসন হোল্ডারের ১৫ রানে ভর করে ১৪২ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় দুই উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। দুটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান।
এ ম্যাচে খেলছেন না নাসুম আহমেদ ও নুরুল হাসান সোহান।