কুমিল্লা, রংপুরসহ ৬ জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হলো বিচারকদের। সংশ্লিষ্ট ৬ জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মুখ্য মহানগর হাকিমকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- ২ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের। এছাড়া প্রশাসনের গাফিলতি, হিন্দুদের নিরাপত্তা এবং ক্ষতিপূরণ বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যা চেয়েছেন উচ্চ আদালত।
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পরে দেশের অন্তত ১৫ জেলায়। সহিংসতায় নিহত হন ৬ জন।
এরমধ্যে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং সবশেষ রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুদের বাড়ি ঘরে হামলার তদন্তে চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন দুই হিন্দু আইনজীবী।
শুনানি শেষে এসব জেলার সহিংসতার ঘটনাতদন্তের চিফ জুডিশিয়াল ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন উচ্চ আদালত। রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে দুই মাসের মধ্যে।
রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে পুরো ঘটনার রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের শাস্তি প্রায় সময়ই নিশ্চিত হয় না। যার কারণে বারবার একই ঘটনা ঘটছে।
এছাড়া সহিংসতা প্রতিরোধে প্রশাসনের ব্যর্থতা, হিন্দুদের নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে সরকারের জবাব চাওয়া হয়েছে।
যদিও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় সারা দেশে অর্ধশতাধিক মামলায় কয়েকশ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।