বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) আসামি ও বাদীপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মুম্বাই হাইকোর্ট আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করেন। অবশেষে জামিন পেলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান।
মঙ্গলবার ও বুধবার পরপর দুদিন আরিয়ান খানের জামিনের শুনানি স্থগিত রাখেন বিচারপতি নিতিন সাম্বর। বুধবারই কোর্টের কাছে ১ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন এনসিবির আইনজীবী অনিল সিং।
ওইদিন আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার আইনজীবীর পক্ষের কথা শোনার পরই তিন অভিযুক্তের জামিনের শুনানি ফের স্থগিত রাখেন বিচারক। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় শুরু হয় আরিয়ানের শুনানি।
দুইপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে জামিন পান শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। তবে শুধু আরিয়ানই নন, এদিন জামিন পান মুনমুন ও আরবাজও।
মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল এনসিবি। আরিয়ানের দাবি, তাদের মধ্যে আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ছাড়া আর কারও সঙ্গেই তার পরিচয় নেই। যে কথোপকথনের উপর ভিত্তি করে এনসিবি তদন্ত এগোচ্ছে, তার সঙ্গে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এরই মধ্যে আদালতে ডাক পড়েছে বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডের। এনসিবির আঞ্চলিক পরিচালক সমীর ওখান্ডে নারী কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আইন অনুযায়ী, সূর্যাস্তের পর নারীদের জেরা করা যায় না। তাই শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আবার অনন্যাকে জেরা করার কথা এনসিবির।
জানা গেছে, আরিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এনসিবি সানায়া কাপুরের নাম জানতে পেরেছিল। তাই বলিউড অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরের কাজিন সানায়াকেও এনসিবি তলব করতে পারে।
গত ২ অক্টোবর মাদকপার্টি থেকে আটক করা হয়েছিল আরিয়ানকে। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জেরার পর পরদিন এনসিবি গ্রেপ্তার করে তাকে। দুদফায় জামিন খারিজের পর এনসিবি হেফাজত থেকে গত ৮ অক্টোবর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। তারপর থেকেই আর্থার রোড জেলে বন্দি আরিয়ান খান। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পর মুম্বই সেশন কোর্টও খারিজ করে দেয় আরিয়ান খানের জামিনের আবেদন।
এরপরই মুম্বাই হাইকোর্টে আরিয়ানের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী অমিত দেশাই। হাইকোর্টে সতীশ মানশিন্ডে বা অমিত দেশাই নন, আরিয়ানের হয়ে লড়েন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি। অন্যদিকে এনসিবির হয়ে লড়েন এএসজি অনিল সিং। বিচারপতি নিতিন সাম্বরের সিঙ্গেল বেঞ্চের কাছে দুই পক্ষই নিজেদের সমর্থনে বক্তব্য পেশ করেছেন।