দেশের বিভিন্ন নৌপথে পদ্মা নদীসহ চলাচলকারী ৫৩টি ফেরির মধ্যে বেশির ভাগই নেই ফিটনেস। সবচেয়ে নতুন ফেরিটিও ৩৫ বছর আগে কেনা হয়েছে। প্রায় শত বছরের পুরনো ফেরিও আছে। যেগুলোর মেয়াদও এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তবু জোড়াতালি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। এ নৌরুটে মোট ফেরি সংখ্যা ২০টি হলেও চলাচল উপযোগী ১৫ থেকে ১৬টি। বাকি যে ফেরি আছে তা বেশির ভাগই বিকল অবস্থায় পাটুরিয়া ঘাটের ডকইয়ার্ডে মেরামতের জন্য পড়ে থাকে। ব্যস্ততম এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন পদ্মা নদী পার হয়। এ ছাড়া সচল ফেরির বেশির ভাগই পুরনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ।
বিআইডব্লিউটিসির সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়াসহ দেশের বেশিরভাগ নৌরুটে ফেরির বয়স অনেক, নেই ফিটনেস। তারপরও সেবা কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্য জরাজীর্ণ এই ফেরি দিয়েই পারাপার হচ্ছে যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ঘাটের কয়েকটা ফেরি আসলেই অনেক পুরনো। ফেরির অবস্থা দেখে প্রধানমন্ত্রী হাতে একটি প্রকল্প নিয়েছেন। আমরা আগামী জানুয়ারির মধ্যে ১২টি ফেরি পেয়ে যাব। আর পুরাতন ফেরিগুলো রি-বিল্ডিং করে ডকইয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির সূত্রে জানা যায়, চলাচলকারী রুটের বেশির ভাগ ফেরি নির্মাণ হয়েছে ১৯২৫, ১৯৩৮, ১৯৪৭, ১৯৮৩ ও ১৯৮৬ সালে।
এদিকে ফিটনেসবীহিন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ফেরিগুলো বন্ধ করে নতুন ফেরি সংযোজনের দাবি জানান যাত্রীরা।
যাত্রীরা জানায়, এসব ফেরি ঝালাই করা, ইঞ্জিন নষ্ট। অন্য এক যাত্রী বলেন, ফেরির মেরামত ঠিকভাবে না করার জন্য আজ এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।