আবুধাবি ক্রিকেট কাউন্সিল আবুধাবিকে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম সেরা কেন্দ্র করার লক্ষ্যে কাজ করছে । ক্রিকেট ছাড়াও ফুটবল, টেনিসসহ অন্যান্য খেলা আয়োজনে বিশ্বমানের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করছে সংস্থাটি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ মূল বা বয়স ভিত্তিক দলের খেলা আয়োজনে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ম্যাথিউ বাউচার।
মরুর দেশে চলছে ক্রিকেট উৎসব। বিশ্বের হাজারো ক্রিকেট ভক্তের পদচারণায় এখন মুখর সংযুক্ত আরব আমিরাত। যে দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি বলতে তেমন কিছুই নেই, তারাই মেগা ইভেন্টের গর্বিত আয়োজক। ক্রীড়া বিশ্বে স্পোর্টস হাব হিসেবে সুখ্যাতি আছে দুবাইয়ের। চাকচিক্যের এই শহরে ক্রিকেট, ফুটবল ছাড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে মোটর রেসিং, টেনিস, গলফের আন্তর্জাতিক ইভেন্ট।
একই পথে যাচ্ছে আবুধাবিও। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের তিন ভেন্যুর একটি শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম। এই অঞ্চল ঘিরেই গড়ে উঠেছে একটি স্পোর্টস হাব। যেখানে প্রতি সপ্তাহে ১২ হাজার মানুষ আসছে বিভিন্ন খেলায় অংশ নিতে। বিশ্বমানের সুবিধা নিশ্চিতে এক সঙ্গে কাজ করছে আবুধাবি স্পোর্টস কাউন্সিল ও আবুধাবি ক্রিকেট। এ সম্পর্কে ম্যাথিউ বাউচার বলেন, এখানে ক্রিকেটের জন্য আন্তর্জাতিক ভেন্যু ছাড়াও ৯টি ফুটবল মাঠ আছে। টেনিসের জন্য ৫টি কোর্ট আছে, আমরা আরো ৫টি নির্মান করছি। মূল স্টেডিয়ামসহ মোট ৫৪টি পিচ আছে যেখানে খেলা সম্ভব। স্থানীয় কমিউনিটি বছরের ৩৫০ দিন এই সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করতে পারে। আমরা চাই এখানে আরো বেশি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজন করতে।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগের অনেক আসরই অনুষ্ঠিত হয়। টানা দুই মৌসুম হয়েছে আইপিএল। এছাড়াও পিএসএল, সিপিএলেরও আয়োজক তারা। আলোচিত আবুধাবি টি-১০ লিগ হয় এ মাঠেই। এত আয়োজনের মাঝেও বাংলাদেশের খেলা আয়োজনে ভিন্ন এক আনন্দ কাজ করে শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের। যার প্রধান কারণ টাইগার ক্রিকেটের সমর্থকরা। বাউচারের ভাষায়, বাংলাদেশের সমর্থকদের আমরা সব সময় আমন্ত্রণ জানাই। এর আগে এশিয়া কাপেও এখানে খেলেছে বাংলাদেশ দল। সে সময় অনেক সমর্থক এসেছিল। আমরা সেটা কোনোদিন ভুলবো না। বাংলাদেশের খেলা থাকলে আমরাও রোমাঞ্চিত হই।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশের যে কোনো পর্যায়ের খেলো আয়োজনেও আগ্রহী আবুধাবি ক্রিকেট কাউন্সিল। বাউচার যোগ করেন, বিসিবির সঙ্গে আমাদের কথা হয়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে আমরা এখানে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলের খেলা হলেও আয়োজন করতে চাই। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সব সময় এখানে আমন্ত্রিত। সাকিব আল হাসানের খেলা আমার অনেক ভালো লাগে। একই সঙ্গে মুশফিক-লিটনও দারুণ খেলে। আশা করছি ভবিষ্যতেও এখানে আরো অনেক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।