রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

ডেঙ্গু হয়ে আরও ১৭৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১
  • ১২ Time View

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও ১৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। তাদের অধিকাংশই রাজধানীর বাসিন্দা। এসময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১৩৯ জন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৩৪ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫১ জনে। ঢাকার ৪৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৮৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৬৩ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ (২৮ অক্টোবর) পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৩ হাজার ২২৭ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২২ হাজার ২৮৭ জন রোগী। ডেঙ্গুতে এ সময়ে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিবছর বর্ষাকালেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছিল।

ডেঙ্গু প্রকোপের এ সময়ে বাসাবাড়িতে অব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রে পানি জমতে না দেওয়াসহ দিনে ও রাতে মশারি টানানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেজ্ঞরা।

দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান। তবে সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৭৯।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ওই বছর সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ:
১। প্রচণ্ড জ্বর
২। তীব্র মাথাব্যথা
৩। বমি
৪। শরীরে লাল র‍্যাশ ওঠা
৫। মাংসপেশীতে ব্যথা
৬। চোখের পেছনে ব্যথা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়:
১। মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করা।
২। ঘর ও আশপাশের যে কোনো পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা যাতে এডিস মশার লাভা বিস্তার না করতে পারে।
৩। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারকেলের মালা, কনটেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল ইত্যাদি প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা; যাতে এডিস মশা বিস্তার না করতে পারে।
৪। রাতে বা দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা।
৫। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ স্থাপন করা।
৬। মশা নিধনের ওষুধ, স্প্রে কিংবা কয়েল ব্যবহার করা।
৭। জানালাতে মশা প্রতিরোধক নেট ব্যবহার করা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 Jagoroni TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com