গৃহযুদ্ধ এড়াতে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সরানোর প্রয়োজন ছিল বলে দাবি করেছেন সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আব্দেল-ফাত্তাহ বুরহান।
খারতুমে এক টেলিভাইসড সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল বুরহান বলেন, ‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে গোটা দেশই অচল ছিল। গত দুই বছরের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে রাজনৈতিক মহলের অংশগ্রহণ ত্রুটিপূর্ণ এবং তা ঝগড়া বিবাদকে উস্কে দেয়’।
সোমবার গ্রেপ্তারকৃত প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লা হামদক ও তার স্ত্রীকে মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার অনুমতি দেয়া হলেও তাদেরকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
বুরহান স্বীকার করেছেন, ‘আমরা মন্ত্রী এবং রাজনীতিকদের গ্রেপ্তার করেছি, কিন্তু সবাইকে নয়।’ তিনি বলেন কেউ কেউ দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ সৃষ্টির অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হবে।
এদিকে, সুদানে অন্তর্বর্তী সরকার ভেঙে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে গৃহবন্দি করা হয়।
দেশটিতে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ছাড়াও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে।
তবে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেনাপ্রধান। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে নির্বাচন হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও ইইউ, আরব লিগ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। দেশটিকে আগের অবস্থানে যেতে আঞ্চলিক সহযোগী দেশগুলোকে এক হয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেছে ইইউ।
এমনকি অভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে জার্মানিকে। ২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সরিয়ে দেয়ার পর সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক গোষ্ঠীগুলোর চুক্তির আলোকেই গত দুই বছর ধরে দেশটি পরিচালিত হয়ে আসলেও গেল সেপ্টেম্বরে সামরিক কর্মকর্তাদের অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে দেশটিতে আবারও নতুন করে সংকট সৃষ্টি হল।