সুপার টুয়েলভ যাত্রা শুরুর পর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার পথে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১২৪ রানেই থেমে গেছে মাহমুদউল্লাহদের ইনিংস।
এদিন আবুধাবি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের ১২০ বলের ইনিংসে ৫২টিই ছিল ডট বল।
৯, ৫, ৪, ২৯, ১৯, ৫-এই সংখ্যাগুলোই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগার ব্যাটসম্যানদের রান সংখ্যা! অবাক করা হলেও ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্কোরবোর্ডের চিত্র ছিল এমনই। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা আশানুরূপ হয়নি টাইগারদের। ইংলিশ বোলারদের সামনে রীতিমতো ধুঁকতে হয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের।
দলীয় ১৪ রানেই ফিরে যান দুই ওপেনার লিটন দাস আর নাঈম শেখ। ব্যক্তিগত ৯ রান করে বিদায় নেন লিটন দাস। মঈন আলীর বলে লিভিংস্টোনকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর নাঈম শেখও একই পথে হাঁটেন। তিনি ফিরে যান ৫ রান করে। আলো ছড়াতে পারেননি সাকিবও। ব্যাট হাতে মাত্র ৪ রানে ফিরে গেছেন এই অলরাউন্ডার। ক্রিস ওকসের বলে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর অবশ্য খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তারা দু’জন। জুটি গড়েন ৩৭ রানের।
তবে বেশিদূর যেতে পারেননি মুশফিক। রিভার্স প্যাডল সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন মুশফিক। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় ইংল্যান্ড। ফলাফল যা হওয়ার তাই। প্যাভিলিয়নের পথে মুশফিক। তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও যেতে পারেননি বেশিদূর। ২৪ বলে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন টাইগার কাপ্তান।
৭৩ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে আরও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তবে নুরুল হাসান ও মেহেদি হাসান মিলে টাইগারদের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মেহেদি ১১ রান করে ফিরে গেলে নাসুম নেমে রানের চাকা সচল রাখেন। তিনি অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৯ রানে। এছাড়া নুরুল হাসান সোহান করেন ১৬ রান।
ইংলিশ বোলারদের হয়ে মঈন আলী নেন ২টি উইকেট। টাইমাল মিলস ৩টি এবং লিভিংস্টোন নেন ২টি উইকেট। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে জিতে নেয় ইংলিশরা।