তালেবানের কাছে যুদ্ধে হেরে যাচ্ছিল দেখে বিকল্প হিসেবে আলোচনার পথ বেছে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তান-বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ এ মন্তব্য করেছেন। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আফগানিস্তানের টোলো নিউজ জানায়, ‘খলিলজাদ বলেছেন, “আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) যুদ্ধে জিততে যাচ্ছি না, এমন বিচার-বিবেচনার ফলই (তালেবানের সঙ্গে) সমঝোতা আলোচনা। সময় আমাদের পক্ষে ছিল না। তাই দেরি করার চেয়ে আগেই (তালেবানের সঙ্গে) চুক্তি করা উত্তম ছিল।”’
সিবিএস নিউজের সঙ্গে আলাপকালে খলিলজাদ বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী অনেকবার আফগান যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে পরাজিত করতে পারেনি বলে অকপটে স্বীকার করেন খলিলজাদ।
আফগানিস্তানের নিরাপত্তা খাত ভেঙে পড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে দোষারোপ করেছেন খলিলজাদ।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্ম দেয়।
কাবুলের পতন হয় গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে। কাবুল পতনের প্রাক্কালে দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গনি। এ নিয়ে তিনি দেশ-বিদেশে তীব্রভাবে সমালোচিত করেন।
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে যায় কাবুল পতনের মধ্য দিয়ে।এক চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনার দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে খলিলজাদ তাঁর পদ ছাড়ছেন।
খলিলজাদ তিন বছর ধরে আফগানিস্তান-বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করেন। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে যেভাবে বিদায় নিতে হয়েছে, তাকে দেশটির স্মরণকালের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়। আর এই ব্যর্থতার প্রধান মুখ হয়ে ওঠেন খলিলজাদ।