বাংলাদেশ ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পা রাখার পর আট কোচের অধীনে খেলেছে। তবে এখনো এই ফরম্যাটে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে পারেননি টাইগাররা। যদিও বর্তমান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর অধীনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের সফলতা চোখে পড়ার মতো।
এ ছাড়া রিচার্ড পাইবাস কিংবা হাথুরু সিংহের অধীনেও ভালো রেকর্ড লাল-সবুজদের। চলুন জেনে নেওয়া যাক টি-টোয়েন্টিতে টাইগার কোচদের সাফল্য-ব্যর্থতার আদ্যোপান্ত।
মাস্টারমাইন্ড কিংবা থিংক ট্যাংক! এই বিশেষণগুলোতে কোচরা বিশেষায়িত হোন তাদের কর্মদক্ষতা আর সফলতার ওপর। ডেভ হোয়াটমোর থেকে শুরু করে রাসেল ডমিঙ্গো। টাইগারদের সঙ্গে কাজ করতে এসে অনেকেই পেয়েছেন এমন তকমা। কিন্তু প্রশ্ন হলো তাদের ছোঁয়ায় এই ফরম্যাটে ঠিক কতটা পরিপক্ব হয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ খেলার আগে ৩১ ম্যাচে তার অধীনে টাইগাররা জিতেছে ১৭ ম্যাচ।এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের মারকাটারি সংস্করণে সবচেয়ে সফল কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। সফলতা প্রায় ৫৫ শতাংশ। যার বড় অংশ এসেছে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এ ছাড়া এই প্রোটিয়ার পরিকল্পনাতেই ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় আসে টাইগারদের।
সংখ্যার হিসেবে ডমিঙ্গোর পরই টি-২০ তে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি জয় উপহার দিয়েছেন চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহে। ২০১৪ থেকে ১৮ পর্যন্ত প্রায় চার বছর দায়িত্বকালে ১২টি ম্যাচ জিতেছেন সাকিব মাশরাফীরা। তার অধীনেই সবচেয়ে বেশি ৩৯টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড টাইগারদের। সে তুলনায় অবশ্য লাল-সবুজদের সফলতায় ভাসাতে পারেননি লঙ্কান বংশোদ্ভুত এই অস্ট্রেলিয়ান।
২০১২ থেকে ১৩। এই সময়কালে বাংলাদেশের কোচের গুরুদায়িত্বটা ছিল রিচার্ড পাইবাসের কাঁধে। তার পরিকল্পনায় ৯ ম্যাচ খেলে টাইগাররা জিতেছিল ৪টিতেই। সফলতার হার ৪৪ শতাংশের বেশি। তারপরও ঢাকায় তার অধ্যায়টা ধীর্ঘায়িত হয়নি বছর খানেকের বেশি।
টাইগারদের সমান তিনটি করে জয় উপহার দিয়েছে স্টিভ রোডস, শেন জার্গেনসন এবং ডেভ হোয়াটমোর। এর মধ্যে সবচেয়ে কম সময় দায়িত্বে ছিলেন রোডস। ৬ ম্যাচ খেলে তিনি উপহার দিয়েছিলেন তিন জয়। যার সবকটিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
প্রায় বছর খানেক সময় শেন জার্গেসন কাজ করেছেন টাইগারদের সঙ্গে। ১৩ ম্যাচে দলকে জয় উপহার দিয়েছিলেন মাত্র তিনটি। সমান জয় আছে অস্ট্রেলিয়ান ডেভ হোয়াটমোরেরও। যদিও তিনি বাংলাদেশে কাজ করেছেন চার বছর। ওই সময়টায় টি-২০ ব্যস্ততা কম থাকায় বেশি ম্যাচ খেলতে পারেনি লাল-সবুজরা। তবে এই ফরম্যাটে প্রথম জয়টা কিন্তু এসেছিল তার হাত ধরেই।
বাংলাদেশে কোচিং করিয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বাজে পরিসংখ্যান জেমি সিডন্সের। তার অধীনে আট ম্যাচ খেলেও কোনো জয় পায়নি টাইগাররা। এখানে তার ক্যারিয়ার লম্বা না হওয়ার পেছনে এটাও বড় কারণ। এ ছাড়া লাল সবুজে দুই ম্যাচ কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে স্টুয়ার্ট ল’র। এক জয়ে যার সফলতা ৫০ শতাংশ।