নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিত্যানন্দ বিগ্রহ (ইসকন) মন্দির, ও শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দির, শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর চন্দ্র মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত নেতারা হলেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফয়সাল ইনাম কমল (৩৯), বিজবাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মো. হারুনুর রশিদ (৪৮), জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. রায়হান (৩৮), চরমটুয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল বারী চৌধুরী (৪৫) ও ছাত্রদলের সদস্য সচিব বেলায়েত হোসেন (২৬)।
অপর গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বেগমগঞ্জের মীরওয়ারিশপুরের আলাউদ্দিন (২৮), নরোত্তমপুরের ফজলুর করিম সুমন (৩২), চরহাজারীর মিন্টু (২৩), ছয়ানী টগবার পারভেজ হোসেন (২৯), দক্ষিণ পেয়ারাপুরের আব্দুল বারেক (৫৫) ও হাজীপুরের আব্দুল বাকী শামীম (৪১)।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্নস্থানে গোয়েন্দা সহায়তায় পুলিশ ও ডিবি অভিযান চালিয়ে মন্দিরে হামলার সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িত আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ফয়সাল ইনাম কমল ও হারুনুর রশিদ কুমিল্লার ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক পোস্ট, গোপন বৈঠকসহ বিভিন্ন উসকানিমূলক কার্যক্রম করে আসছিল। এ ছাড়া অন্যদের ওই দিনের ধারণকৃত সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১টি মামলায় ১৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬৪ জন আসামি রয়েছে।