ইথিওপিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত টাইগ্রে অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনী ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করেছে। রোববার বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলার পাশাপাশি চালানো হয় স্থল অভিযান।
সামরিক অভিযানের কারণে অঞ্চলটিতে দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা।
রোববার একের পর এক বিমান হামলা চালায় ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে।এতে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। বিমান হামলার পরপরই আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে দেখা যায় উদ্ধারকর্মীদের। এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অষ্টমবারের মতো হামলা চালায় ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনী। তবে এতে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
সামরিক অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছে অঞ্চলটির শত শত মানুষ। খোলা আকাশের নিচে কোনো মতে ঠাঁই হলেও দেখা দিয়েছে খাবারের তীব্র সংকট। কিছু জায়গায় ত্রাণ তৎপরতা চললেও তা পরিমাণে খুবই কম বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এমন অবস্থায় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় উদ্ধারকারীরা।
তবে সরকারের দাবি, বিদ্রোহী গোষ্ঠী টাইগ্রে পিউপিলস লিবারেশন ফ্রন্টের প্রশিক্ষণ ও সামরিক কমান্ড হিসেবে ব্যবহৃত পশ্চিম ফ্রন্টকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়নি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে শুধু সন্ত্রাসীদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়।
গত বছরের নভেম্বরে টাইগ্রে অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করে ইথিওপিয়া সরকার। এতে ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি জীবন বাঁচাতে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয় হাজার হাজার মানুষ। দেখা দেয় মানবিক সংকট। মাঝে কিছুটা বিরত থাকলেও আবারও অঞ্চলটিতে সামরিক অভিযানে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।