টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যারন ফিঞ্চ।
টসের সময় অসি অধিনায়ক জানিয়েছেন, ‘আমার মতে উইকেটটি দারুণ। যা ম্যাচের বাকি সময়ে বদলানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই পরে ব্যাটিং করে রান তাড়ার দিকেই ঝুঁকেছি আমরা।’ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে মাত্র একবারই মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে হওয়া সেই আসরে প্রোটিয়াদের ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল অসিরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান টি-টোয়েন্টির অবস্থান ভিন্ন দুটি অবস্থায়। বিশ্বকাপ শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে নিজেদের সবশেষ ১০ টি-টোয়েন্টির ৯টিতেই জয় পেয়েছে, ঠিক সেখানে অস্ট্রেলিয়া হেরেছে শেষ চার টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
ডেভিড ওয়ার্নার পার করছেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময়। ইনজুরি থেকে ফিরে অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও ছন্দ ফিরে পাননি। এ কারণেই বেশ ভুগতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো রকমে পাওয়া জয়ের পর ফেবারিট ভারতের কাছে উড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকার অবশ্য এত মাথা ব্যথা নেই। টেম্বা বাভুমার অধীনে দারুণ ছন্দে আছে তাদের ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচই জিতেছে প্রোটিয়ারা। খারাপ সময় পার করা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে তাই নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে মরিয়া কুইন্টন ডি কক-মহারাজরা।
তবে টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের লড়াইয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। দুই দলের ২২ বারের দেখায় অস্ট্রেলিয়ার জয় ১৩টি ম্যাচে। অপরদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৮ ম্যাচে। আর একটি ম্যাচ টাই হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ
কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা, এইডেন মারক্রাম, রসি ফন ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার, হেনরিক ক্লাসেন, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, কেশভ মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, এনরিচ নর্কিয়া ও তাবরাইজ শামসি।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ
অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথ, মার্কাস স্টোইনিস, ম্যাথিউ ওয়েড, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জাম্পা ও জস হ্যাজেলউড।