রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:১৯ অপরাহ্ন

আরও ২ জনের মৃত্যু হলো ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১
  • ১১ Time View

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮৯ জন ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। এ নিয়ে চলতি বছরে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৩১৯ জন। মারা গেছেন আরও ২ জন। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট ৮৬ জন মারা গেছেন।

(২৩ অক্টোবর) শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৫৫ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৩৪ জন।

চলতি বছর মোট আক্রান্তদের মধ্যে অক্টোবরে ৪ হাজার ১২২ জন, সেপ্টেম্বরে ৭ হাজার ৮৪১ জন, আগস্টে ৭ হাজার ৬৯৮ জন, জুলাইয়ে ২ হাজার ২৮৬ জন এবং জুন মাসে ২৭২ জন ও মে মাসে ৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।

এছাড়া, এ বছরে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৮৬ জনের মধ্যে চলতি মাসে ১৭ জন, সেপ্টেম্বরে ২৩ জন, আগস্টে ৩৪ জন ও জুলাই মাসে ১২ জন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে ঢাকার ৪৬টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৬৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি আছেন ১৬৯ জন। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ হাজার ৩৯৫ জন।

ডেঙ্গু প্রকোপের এ সময়ে বাসাবাড়িতে অব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রে পানি জমতে না দেওয়াসহ দিনে ও রাতে মশারি টানানোর পরামর্শ বিশেজ্ঞদের।

প্রতিবছর বর্ষাকালেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছিল।

দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান। তবে সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৭৯।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ওই বছর সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ:
১। প্রচণ্ড জ্বর
২। তীব্র মাথাব্যথা
৩। বমি
৪। শরীরে লাল র‍্যাশ ওঠা
৫। মাংসপেশীতে ব্যথা
৬। চোখের পেছনে ব্যথা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়:
১। মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করা।
২। ঘর ও আশপাশের যে কোনো পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা যাতে এডিস
মশার লাভা বিস্তার না করতে পারে।
৩। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারকেলের মালা, কনটেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল ইত্যাদি প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা; যাতে এডিস মশা বিস্তার না করতে পারে।
৪। রাতে বা দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা।
৫। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ স্থাপন করা।
৬। মশা নিধনের ওষুধ, স্প্রে কিংবা কয়েল ব্যবহার করা।
৭। জানালাতে মশা প্রতিরোধক নেট ব্যবহার করা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 Jagoroni TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com