রেলওয়ের অব্যবহৃত জমি নির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে লিজ প্রদান করা হবে বলে জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এসব জমি সরাসরি লিজ প্রদান করা হবে। এরমধ্যে কোনো তৃতীয় পক্ষ থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) মন্ত্রী মুজিব বর্ষ উপলক্ষে যাত্রীদের আরামদায়ক রেল ভ্রমণ নিশ্চিতে বিভিন্ন রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম উঁচু করা, শেড নির্মাণ, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ,স্টেশন বিল্ডিংয়ের আধুনিকায়ন কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা থেকে জামালপুর পর্যন্ত ৬টি স্টেশনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। স্টেশনগুলো হচ্ছে- গফরগাঁও , ময়মনসিংহ জংশন, জামালপুর জংশন, মেলান্দহ বাজার, ইসলামপুর বাজার এবং দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে উভয় অঞ্চলে ৫৪ টি রেলস্টেশন আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে স্টেশন বিল্ডিং আধুনিকায়ন, শেড নির্মাণ, প্ল্যাটফর্ম উঁচু করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। রেলপথমন্ত্রী এ সময় রেলওয়ের চলমান কয়েকটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার নতুন রেললাইন নির্মাণ, দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ প্রকল্প, খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ কাজ চলমান আছে। একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম গঠনের লক্ষ্যে সারাদেশে রেলওয়ে উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেলকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১১ সালে আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করে দিয়েছেন। বর্তমানে সারা দেশে অনেক প্রকল্প চলমান আছে। সারাদেশের প্রতিটি জেলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সিঙ্গেল লাইন কে ডাবল লাইন করা হচ্ছে। রেলওয়ে পূর্ব ও পশ্চিম এর মধ্যে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ বিভাজন থাকায় সব জায়গায় ব্রডগেজ করা হচ্ছে। এ সময় তিনি বলেন, জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জামালপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া এ অঞ্চলের স্টেশনগুলোকে আধুনিক মানে উন্নীত করা হচ্ছে। এর আগে একটি বিশেষ ট্রেনযোগে রেলপথমন্ত্রী সকালে ঢাকা থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার পর্যন্ত এ স্টেশনগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান একই ট্রেনে ভ্রমণ করেন। তিনিও বিভিন্ন স্টেশনে বক্তব্য দেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেলের কর্মকর্তাগণ এ সময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন।