আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোথাও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মাথা তুলতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্ধকারের শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘স্বপ্ন ও সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গ-শেখ রাসেল’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্য মেধাবৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ ও দরিদ্র তহবিলে বিশেষ অনুদান প্রদান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলে জামায়াত বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, জামায়াত আর বিএনপির ভেতরে ভেতরে মধুর পিরিতি। তাদের এ বন্ধন কখনো ছুটবে না। জামায়াত ছাড়া বিএনপি অচল, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে। জামায়াতেরও বিএনপি ছাড়া নির্ভরযোগ্য কোনো ছাতা নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী সতর্কবাণী উচ্চারণ করার পর এ ধরনের অপকর্ম করার দুঃসাহস তারা করেনি। সতর্কবাণী উচ্চারণ করার পর ষড়যন্ত্রকারীরা দু-এক জায়গায় সহিংসতার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। রাজধানীতে তারা পারেনি। এখন আমরা সতর্ক। এখন থেকে কোথাও এ অপশক্তিকে মাথা তুলতে দেওয়া হবে না।
সব সাম্প্রদায়িক অপকর্মের জনক হচ্ছে বিএনপি দাবি করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৭৫ পরবর্তীকালে শেখ হাসিনার চেয়ে সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার এ দেশে আসেনি। এ দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে তিনি সুরক্ষা দিয়েছেন। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নে, অর্জনে খুশি বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টকারীরা সিরিজ বৈঠক করেছে। আমরা ভাবছিলাম, তারা কোন পথে আগাবে, কোন অপকর্ম করবে। শারদীয় দুর্গাপূজার সময়টিকেই তারা বেছে নিল।’
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে যে রাজনৈতিক দর্শনের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই দর্শনকেও সেদিন হত্যা করা হয়েছিল। তাই ২০২১ সালে এসেও দেখি, সনাতন ধর্মের মানুষ যখন দুর্গাপূজা উদ্যাপন করে তখন ৭৫ পরবর্তী খুনিদের পৃষ্ঠপোষক রাজাকার-আলবদর-জঙ্গিগোষ্ঠী সেখানে হামলা করার ষড়যন্ত্র চালায়।’
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, শেখ রাসেলের সম্ভাবনাকে তাঁরা শেষ করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য মো. মোজাফফর হোসেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে তার বয়স হতো ৫৮ বছর। সে এখন দেশের নেতৃত্বে আসত।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে শেখ হাসিনার পাশে থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হালিম।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন। সঞ্চালনা করেন দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি।