ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়া কাপের পরবর্তী আসর আয়োজন করবে পাকিস্তান। ২০২৩ সালে এই আসরের পরের বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আরেকটি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায় ।
ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় সাইট ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুবাইয়ে এসিসির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়, যা ভারত ক্রিকেট বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক জয় শাহ পরিচালনা করেন। সভায় তিনি বলেন, ‘এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সামনে সুযোগ এসেছে এশিয়া কাপ আয়োজন করার। এই টুর্নামেন্ট কোনো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করা সম্ভব নয়।’
উল্লেখ্য, এশিয়া কাপের সবশেষ দুই আসরের একটি ওয়ানডে ফরম্যাটে ও একটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কথা ছিল এই আসরও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এবার সিদ্ধান্ত পাল্টাল নীতি-নির্ধারকেরা।
এই প্রতিযোগিতা মূলত আয়োজন করার কথা ছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। করোনাভাইরাসের কারণে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আয়োজনের দিনক্ষণ পিছিয়ে যায়। ক্ষতি সাধিত হয় ক্রীড়াঙ্গনের প্রায় সব পর্যায়ে। পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যা আয়োজন করার জন্য ২০২২ সালকে নির্বাচন করা হয়। কিন্তু তাও পিছিয়ে গেল আরেক দফায়।
এশিয়া কাপের সবশেষ চার আসরের তিনটিতেই স্বাগতিক ছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের দেশে বাংলাদেশকে ২ রানে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ নেয় পাকিস্তান। ২০১৪ সালে পরের আসরে ফাইনালে খেলে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। এবার চ্যাম্পিয়ন হয় লঙ্কানরা। ফাইনালে তারা জয় পায় ৫ উইকেটে। ২০১৬ সালের শিয়া কাপেও বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছিল, দুর্ভাগ্য যে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারতে হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।