দেবী দুর্গার বিসর্জন সম্পন্ন হলো লাখো মানুষের সম্মিলনে। এই বিসর্জনে দেবীকে বিদায় করার সময় হাসিখুশিতে মেতে উঠেছেন দেবীর ভক্তরা। আবার কেউ চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জন করেছেন ।
সকলের প্রত্যাশা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। তারই প্রত্যয় ব্যক্ত হলো বাংলাদেশের আকাশ থেকে সাম্প্রদায়িকতার কালো মেঘ রুখে দেওয়ার।
সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিকেল গড়াতেই একে একে আসতে থাকে বিভিন্ন পূজামণ্ডপের প্রতিমা। আর প্রতিমাগুলোকে ঘিরে বিদায়ী আরতির মাধ্যমের আরাধনায় মাতে ভক্ত-পূজারীরা। এবারের পূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারায় আনন্দিত তারা।
কক্সবাজারের সাংস্কৃতিক সংগঠক বিশ্বজিত পাল জানান, কক্সবাজারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা শেষ হয়েছে। এতে এই জেলায় সম্প্রতির বন্ধনের অটুটের বিষয়টি ফের প্রমাণিত হলো।
পূজারী মৌসুমী পাল জানান, বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে কিছুটা ভয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত পূজা শেষ হয়েছে এটাই আনন্দের। লাখো মানুষের ভিড়ে প্রতিমা বিসর্জন ভিন্ন এক উৎসবের।
বিজয়ার মঞ্চে দাঁড়িয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে জাতি-ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতারা।
যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা জাসদের সভাপতি নাঈমুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
পেকুয়ায় সংঘটিত বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া জেলায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে এবারে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রণজিৎ দাশ।
তিনি জানান, কক্সবাজার সৈকতের বিজয়া অনুষ্ঠানে ৪ শতাধিক প্রতিমা সাগরে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে, যা দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন উৎসব।