সরকার ভুল করলে, দায়িত্বশীলরা ভুল করলে অবশ্যই সেগুলো সংবাদপত্রে আসবে। প্রধানমন্ত্রী সমালোচনায় বিশ্বাসী। সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি প্রধানমন্ত্রী লালন করেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) ‘আজকের বিজনেস বাংলাদেশ‘ এর ৫ম বর্ষে পদার্পণ এবং ‘ডেইলি বাংলাদেশ আপডেট‘ এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ড. হাছান মাহমুদ সংবাদপত্রের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে বলেন, টেলিভিশনের পাশাপাশি আমরা সংবাদপত্রেও শৃংখলা আনার চেষ্টা করছি। অনেক পত্রিকা আছে হঠাৎ বের হয়; হঠাৎ বৃষ্টির মতো। ইতোমধ্যে এমন ২১০টি সংবাদপত্রের ডিক্লারেশন বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসকদের বলে দিয়েছি। আরও প্রায় ২০০ পত্রিকা আছে যেগুলো বের হয় না। এগুলোর বিষয়েও আমরা শিগগিরই আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে। গত সাড়ে ১২ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। রেকর্ডসংখ্যক সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল ও অনলাইনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন টেলিভিশন চ্যানেলের ক্রম ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। আগে এখানে ব্যাপক বিশৃংখলা ছিল। এছাড়া আগে বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলে প্রচারিত হত। এতে দেশীয় চ্যানেলগুলো বঞ্চিত হত। পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব হারাত। টেলিভশনে ক্লিনফিড বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সব দেশেই ক্লিনফিড আছে। কিন্তু আমাদের দেশে আগে থেকেই আইন থাকলেও ক্লিনফিড মানা হত না। আমরা কঠোরভাবে ক্লিনফিড বাস্তবায়ন করছি।
গণমাধ্যমের গুরুত্ব তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের বিকাশ রাষ্ট্রের বিকাশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। একটি রাষ্ট্রে যদি বহুমাত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হয় তাহলে গণমাধ্যমের বিকাশ আবশ্যক। গণমাধ্যমের বিকাশ ছাড়া রাষ্ট্রের বিকাশ সম্ভব নয়। একটি মুক্ত গণমাধ্যম গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত।