রাজধানীর জুরাইন এলাকায় কমছেই না ডেঙ্গুর প্রকোপ।
হাসপাতালে ভর্তি হতে না হতেই ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও। দেশে গত বছরের চেয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২০ গুণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় এ বছর এডিসের বিস্তার বেড়েছে।
রাজধানীর জুরাইনের ফাতেমা হয়ত সুস্থ হয়ে বাড়ি যাবে দুয়েকদিনের মধ্যে। কিন্তু একই এলাকার ১০ বছর বয়সী খাদিজা হেরে গেছে ডেঙ্গুর কাছে। গতমাসে হাসপাতালে ভর্তির একদিন পরই মারা যায় সে।
পঞ্চম শ্রেণির ফাতেমা আক্তার। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে। ফাতেমার মা বলছেন আগের চেয়ে ফাতেমার অবস্থা তুলনামূলক ভালো।
মিটফোর্ডে প্রায় ৭০টি শয্যার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি শয্যায় ভর্তি আছে ডেঙ্গু রোগী।
এই হাসপাতালে ঢাকার চেয়ে বেশি ভর্তি আছেন বাইরের জেলার রোগীরা। অর্থাৎ ডেঙ্গু ছড়িয়েছে দেশব্যাপী।
গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে হাসাপাতালে ভর্তি হন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। কিন্তু চলতি বছর এ সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার কারণে এডিস নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সিটি করপোরেশন ও জনগণকে আরও উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান। তবে সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৭৯।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ওই বছর সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন।
দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল থেকে রোববার পর্যন্ত ২১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০ হাজার ১২৯ জন। সেই সঙ্গে মারা গেছেন আরও ৩ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৬ জনে। রোববার (১০ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।