পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সকল বৈশ্বিক উদ্যোগে উন্নত দেশ বিশেষ করে জি-২০ কে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান দিতে হবে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ক্ষতিকর গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখতে ধনী দেশগুলোর সাথে সকল দেশেরই ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশান (এনিডিসি) ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করতে হবে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ভুটানে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে মো. শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন। মন্ত্রী ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি ওই সম্মেলনে যুক্ত হন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চলতি বছরের ২৬ আগস্ট হালনাগাদকৃত ও উন্নত এনডিসি জমা দিয়েছে যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে ২১.৮৫ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের নির্গমন হ্রাসের উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান চুড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলমান আছে। বিশ্বব্যাপী অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিষয়টি COP-27 এ বিবেচনার জন্য COP-26 এ একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত বলে বাংলাদেশ মনে করে।
বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এর সহায়তা যাতে সহজে অনুন্নত দেশগুলো পেতে পারে সে বিষয়ে GCF এবং GEF কে নির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আর্টিকেল ৬ বিষয়ক আলোচনা চূড়ান্তকরণ এবং প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়ন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আর্টিকেল ৬ এ মেকানিজমে কার্যকরী অংশগ্রহণের জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা উচিত।