সোমবার (১১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১৬ ব্লকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেশীয় তৈরি অস্ত্রসহ কথিত আরসা বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)।
আটকরা হলেন- উখিয়ার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মুক্তার আহাম্মদ (৫০) ও তার ছেলে ওমর ফারুক (১৯), একই ক্যাম্পের নুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ সলিম (৩৮), লিয়াকত আলীর ছেলে মোহাম্মদ আরাফাত (২৫) এবং সৈয়দ হোসেনের ছেলে মনসুর আলম (২৫)।
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত ৮-এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এপিবিএন জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে সলিম, ওমর ফারক ও মুক্তার কথিত আরসা বাহিনীর নেতা ডা. ওয়াক্কাস ওরফে নুর কলিমের ঘনিষ্ট সহচর ও সংগঠনটির সদস্য। এছাড়া মোহাম্মদ আরাফাত কথিত আরসা বাহিনীর তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী এবং মনসুর আলম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি।
পুলিশ সুপার সিহাব কায়সার বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এপিবিএন বিশেষ অভিযান ( ব্লক রেইড ) অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এপিবিএন এর একটি বিশেষ দল রোববার রাত থেকে সোমবার ভোররাত পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালায়।
অভিযানের এক পর্যায়ে এপিবিএন খবর পায় বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১৬ ব্লকের কাঁচাবাজার সংলগ্ন এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে কতিপয় সশস্ত্র লোকজন অবস্থান করছে। এতে তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় এপিবিএন অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে এপিবিএন এর উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও ৫/৭ জন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি ধারালো দা, ২টি ছোরা এবং ৮টি লোহার তৈরি বিশেষ ধরণের ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এপিবিএন’র এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আটকরা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠি কথিত আরসা বাহিনীর সদস্য। তারা আরসার নাম ব্যবহার করে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদকপাচার ও মানবপাচারসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এসব অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা হয়েছে। তবে কথিত আরসা সংগঠনটির অস্থিত্ব আদতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে, নাকি সংগঠনটির নাম ব্যবহার করে নানা ধরণের অপরাধ সংঘটন হচ্ছে; এ ব্যাপারে এপিবিএন খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
আটকদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।