নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সম্প্রতি দেশের রাজনীতিতে ঘুরে ফিরে আসছে নির্বাচন প্রসঙ্গ। বিএনপির দাবি, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকার। আর আওয়ামী লীগ বলছে, যা হবে সংবিধান মেনেই।
রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রিপোর্টারদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টারর্স ইউনিট আয়োজিত মিট দ্যা রিপোর্টার্সে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে আদালতের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সার্চ কমিটির মাধ্যমেই ফ্রেব্রুয়ারিতে নতুন কমিশন গঠন হবে।
আনিসুল হক বলেন, ’সার্চ কমিটির যে গেজেট, সেটা আইন নয়, কিন্তু যেহেতু মহামান্য রাষ্ট্রপতি এটা করেছেন, তাই এটা আইনের কাছাকাছি। সে কারণে এটা দিয়ে এবার হবে। তার পর আইনে চলে যাবো।’
এদিকে, প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। এ সময় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন বলেন, ’সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটি নির্বাচন দিতে হবে। যাতে করে জনগণ তাদের পছন্দমতো সরকার তৈরি করবে। আজ সময় এসেছে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি।’
এদিকে, জনরায়কে অশ্রদ্ধা করে নির্বাচন থেকে দূরে থাকলে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও বিএনপিকে পস্তাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপি অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ খুঁজছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র এগিয়ে যাওয়ার পথে বিএনপি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তারা গণতন্ত্রের পথে না হেঁটে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে পথ খুঁজছে। বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে বলে জানান তিনি।