ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন,কোনোভাবেই যাতে আগের মতো ঠাসাঠাসি করে শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ না করে। এটি স্বাস্থ্যবিধি পরিপন্থী।অন্যদিকে গণরুমের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।গণরুমের বিষয়ে হল প্রশাসন একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ও রোকেয়া হল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, কথিত গণরুম কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ সংকট নিরসনে হল প্রশাসনের যে বিশেষ উদ্যোগ, সে উদ্যোগের পাশাপাশি সংশস্নষ্টি সব মহলের সহযোগিতা খুবই জরুরি। এ উদ্যোগটি তখনই সফল হবে, যখন শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্টকহোল্ডারদের ইতিবাচক ভূমিকা থাকবে। তাহলে দীর্ঘদিনের এই সংকট থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব।
সব বর্ষের জন্য হল খোলার বিষয়ে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, পর্যায়ক্রমে আমরা আজ (রোববার) সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে হলে তুলেছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতনতাবোধ তৈরি হয়েছে। মহামারি প্রতিরোধে এটি দরকার ছিল। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা দুই ডোজ টিকাও নিয়েছে। হল প্রশাসনও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রতি তাগিদ দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানা ও টিকা নেওয়ার ধারাটা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে বড় ধরনের ঝুঁকি থাকবে না।
এদিকে রোববার সকাল ৮টা থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠতে দেখা যায়। এদিনও ফল, চকলেট ও মাস্ক দিয়ে বরণ করে হল প্রশাসন। তবে বিজয় একাত্তর হলে প্রথমে ১ম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে উঠতে প্রথমে বাধা দেওয়া হলেও পরে তাদের হলে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে গণরুম থাকবে না এবং কোনো শিক্ষার্থীকে মেঝেতে না রাখার সিদ্ধান্ত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের গণরুমগুলোতে মেঝেতে থাকতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। অন্যান্য হলের গণরুমগুলোতে খাট বসিয়ে শিক্ষার্থীদের সেখানে রাখা হলেও এই হলের গণরুমগুলোতে কোনো খাট বসানো হয়নি। তাই মেঝেতেই থাকছেন এসব রুমে আসা শিক্ষার্থীরা।