বাংলাদেশকে নাকি নতজানু রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা চলছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, দেশের মানুষ জানে, কারা বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকালে নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপিই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশ ও জাতির স্বার্থ বিসর্জন দেয় এবং বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা করে। জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে শেখ হাসিনা সব সময় আপসহীন, যদি তিনি জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব সমর্থন করতেন তাহলে ২০০১ সালেই ক্ষমতায় আসতে পারতেন।
কথায় কথায় যারা দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, যারা বিদেশি দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করে, তারাই বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
বিএনপিই তাদের কর্মকাণ্ডের দ্বারা বিদেশিদের কাছে দেশের ইমেজ নষ্ট করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের ইমেজ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে এই মুহূর্তে গণ-আন্দোলনের বস্তুগত কোনো উপাদান নেই, অতীতের মতো এবারও জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দেবে না।
বিএনপির গণ-আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ বলেন, জনগণ এখন তাদের এ গণ-আন্দোলন আহ্বানের ডাক শুনলে হাসে।
কারণ ১৩ বছর বিএনপি বহুবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কিন্তু জনগণ তো দূরের কথা তাদের নেতাকর্মীাই সাড়া দেয়নি।
সরকার নাকি একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একদিকে ভোটে আসবে না, আবার নির্বাচিত হয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম সংসদে যাবেন না, সংসদে তো বিএনপির প্রতিনিধিও রয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে একদলীয় শাসন হয় কীভাবে? বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে যা করেছিল জাতি তা ভুলে যায়নি।
কাদের বলেন, বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল বহুদলীয় তামাশা। আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী নেতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যন্ত নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাস্তবায়নের বিষয়ে সবাইকে মনোযোগ দিতে হবে। আরপিও অনুযায়ী নেতৃত্বে নারীদের ৩৩ ভাগ প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা, কিন্তু এখন ২২ ভাগ আছে, যা অন্যান্য নিবন্ধিত দলের চেয়ে বেশি। এ ব্যাপারে লক্ষ্য পূরণ করতে সবাইকে আরও তৎপর হতে হবে।
এ সময় সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, অনিয়ম করে যারা প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন বা পাঠাবেন তাদের বিরুদ্ধে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে, প্রমাণ পাওয়ামাত্রই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আবারও স্মরণ করে দিয়ে বলেন, কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না এবং এবারও যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাদের ভবিষ্যতে কোনো পদ-পদবি ও মনোনয়ন দেওয়া হবে না।