রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সিসিটিভির ৭১টি ছবি বিশ্লেষণ করে ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারাল ছুরিটিও।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে ব্রিফিংয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় ছিনতাইকারী দলের সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর কাওরানবাজারে ব্যাংক এশিয়ার সামনে দিয়ে সাইকেলে যাওয়ার সময় কেশব রায়ের ওপর হামলে পড়ে তিন ছিনতাইকারী। তাদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে মুহূর্তেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, ঘটনার পরপরই ছিনতাইকারীরা কেশবের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
সিসিটিভির একাত্তরটি ফুটেজ পর্যালোচনা করে, জড়িতের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তেজগাও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মামুনকে। এছাড়া রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরও দুই জনকে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ছিনতাইরীরা সক্রিয় উল্লেখ করে পুলিশ জানায়, তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নিহত কেশব রায় পাপন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।