রোনালদোকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মনে করা হয়। ১৩৬ গোল নিয়ে প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি, মেসি করেছেন ১২১ গোল। গোলের পাশাপাশি চিরপ্রতিদ্বন্দী লিওনেল মেসির চেয়ে অ্যাসিস্টও বেশি করেছেন পর্তুগিজ ফুটবলার। মেসির অ্যাসিস্ট ৪১টি হলেও রোনালদো করেছেন ৪৮ অ্যাসিস্ট।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে মর্যাদাবান প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এই ফরম্যাটে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির তুলনায় গোল-অ্যাসিস্টের পাশাপাশি ইনজুরি টাইমের গোলও বেশি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর।
কোনো ম্যাচে পিছিয়ে থাকার পর গোল করে দলকে জয় এনে দেওয়াকে অন্যতম মর্যাদার চোখে দেখা হয় বিশ্ব ফুটবলে। আর সেটা যদি হয় ম্যাচের যোগ করা সময় তথা অতিরিক্ত সময়ে তাহলে তো কথাই নেই! সেই জায়গায়ও মেসির তুলনায় এগিয়ে ইউনাইটেড তারকা। ডেইলি মেইলের হিসাব বলছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইনজুরি টাইমে রোনালদো করেছেন ৯ গোল। যার সবশেষটি এসেছে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে। মেসি নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর গোল করেছেন ছয়বার।
বুধবার ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রোনালদোর ইনজুরি টাইমের গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড জয় পেয়েছে ২-১ গোলে। শুরুতে ইংলিশ জায়ান্টদের চিন্তায় ফেলে দিয়ে লিড নেয় স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়াল। জালে বল পাঠান পাকো অ্যালকাসার। রেড ডেভিলদের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ শুরু হয়েছিলো সুইস লিগের এক ক্লাব ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে হার দিয়ে। ভিয়ারিয়াল ৫৩ মিনিটে লিড নেয়ার পর আবারও অঘটনের ভয় দানা বাঁধতে থাকে সোলশায়ারের দলে। সেই চাপ থেকে মুক্ত করেন অ্যালেক্স তেলেস। ৬০ মিনিটে এই ব্রাজিলিয়ানের গোলে সমতায় ফেরে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি।
অন্তিম মুহূর্তে রোনালদোর নায়কোচিত পারফরম্যান্সে জয়টাও ছিনিয়ে নেয় রেড ডেভিলরা। মিনিটের হিসাবে একেবারে ৯৫তম মিনিটে গোল পান রোনালদো। বাম প্রান্ত থেকে এডিনসন কাভানিদের আক্রমণে ডি বক্সের ভেতর বল পান রোনালদো। হেডের মাধ্যমে তিনি তা বাড়িয়ে দেন সতীর্থ জেসে লিঙ্গার্ডকে। এরপর ফিরতি পাসে বল জালে পাঠান ৩৬ বছর বয়সি তারকা।
ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে জিততে না পারলে এফ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে পড়ে থাকতে হতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। এখন ২ ম্যাচে ১ জয়ে টেবিলের তিনে রোনালদোর দল। ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে আটালান্টা। রোনালদোর দলের সমান পয়েন্ট সত্ত্বেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় দুই নম্বরে ইয়াং বয়েজ।