মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন

সাফে উড়ন্ত সূচনা বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৪ Time View

শুক্রবার (১ অক্টোবর) মালদ্বীপ জাতীয় স্টেডিয়ামে জামাল ভূঁইয়ারা জয় পেয়েছে ১-০ গোলে। বেশ কয়েকটি জোরাল আক্রমণ করলেও গোলশূন্যভাবেই ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট অতিবাহিত হতে না হতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেন তপু বর্মণ।সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচেই টুর্নামেন্টে টিকে থাকা না থাকার হিসেব কষা হয়ত সমীচিন না। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পরাজয়ের সমীকরণে নির্ভর করছে বাংলাদেশের সাফ ভবিষ্যৎ। এমন অদৃশ্য চাপে খেলতে নেমে শুরুতে কিছুটা ছন্নছাড়া ফুটবলের মধ্যে ছিলো লাল -সবুজরা। যদিও দ্রুতই নিজেদের গুছিয়ে নেয় বাংলাদেশ।

খেলা মালদ্বীপে হলেও দেখে বুঝার উপায় নেই যে এটি বাংলাদেশ নয়, গ্যালারিতে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে শত শত ফুটবলপ্রেমী। সে কারণেই হয়তো অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা বাড়তি উদ্দীপনা পেয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। বারপোস্টে শটের হিসাবে এগিয়েছিল জামাল বাহিনী। অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা লক্ষ্যে চারটি শট নিলেও শ্রীলঙ্কাকে ডিফেন্ডাররা এ ধরনের কোনো সুযোগই দেননি।

প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার মত আক্রমণ জামালরা প্রথম করে ১০ মিনিটে। বিশ্বনাথ ঘোষের ক্রসে পোস্টে শট নিয়েছিলেন তপু। কিন্তু লঙ্কান ডিফেন্সে তা বাধা পায়। যার বিপরীতে পেনাল্টির আবেদন করেও সুবিধা পায়নি বাংলাদেশ। ৩৯তম মিনিটে বাংলাদেশের রাকিব হোসাইন শ্রীলঙ্কার দুই ফুটবলারকে পরাস্ত করে ডি বক্সের ভেতর বল নিয়ে ঢুকে যান। সেখান থেকে তিনি পাস দেন বারপোস্টের কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা সতীর্থকে। তাৎক্ষণিকভাবে শট নিলেও বল এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে আবার ফিরে আসে, সেটিতেও শট নেন রাকিব সতীর্থ, সেই মুহূর্তে লঙ্কান ডিফেন্ডার জোরাল শটে দলকে বিপদ থেকে মুক্ত করেন।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দৃষ্টি জোরানো আক্রমণ করে বাংলাদেশ। প্রায় মাঝমাঠ থেকে ভেসে আসা বলে দুর্দান্ত হেড করেন জুয়েল রানা। তবে তার হেড কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষক। তাতে মাথায় হাত জুয়েল রানার, হতাশ বাংলাদেশি দর্শকরাও।

এমন ম্যাচেও গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন জুয়েল রানা। তবে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে তপুর গোল না পাওয়া। ইয়াসিনের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ানে ডি বক্সে গিয়ে দারুন হেড করেন তপু। তবে সুজান পেরেরার অসাধারণ দক্ষতায় লিড বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।

বিরতি থেকে ফেরার পর সবচেয়ে বড় সুযোগটি তৈরি করে শ্রীলঙ্কা। ৫০তম মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে নেওয়া কাভিন্দু ইশানের শট বাংলাদেশের পোস্টের একটু উপর দিয়ে যায়। পর মুহূর্তে ইব্রাহিমও এমনটি শট নিয়েছিলন শ্রীলঙ্কার জালে, তবে সেটি ছিল অপেক্ষাকৃত কাছ থেকে।

৫৬তম মিনিটে দুই ডিফেন্ডারের সঙ্গে সঙ্গে বলের কাছে ছুটছিলেন ইব্রাহিম। লঙ্কানদের এক খেলোয়াড় পড়ে যাওয়ায় বল হাতে লাগায় পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। রেফারিও কোনো ধরনের ইতস্তত করেননি বাঁশি বাজাতে। সেখান থেকে সফল শটে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন বাংলাদেশের সার্জিও রামোসখ্যাত তপু বর্মণ। অন্যদিকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন শ্রীলঙ্কার ডাকসন পুসলাস।

বাকি সময়টাও আধিপত্য ধরে রেখেছে ব্রুজন শিষ্যরা। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন নতুন খেলোয়াড়ও নামান বাংলাদেশ কোচ। সুমন রেজার বদলি হিসেবে নামেন মতিন মিয়া, সুফিল আসেন ইব্রাহিমের জায়গায় আর প্রথমার্ধের পরেই জুয়েলের পরিবর্তে আসেন সাদ উদ্দিন। বদলি মতিন মিয়াই ৮১তম মিনিটে জোরালো হেড নেন শ্রীলঙ্কার জালে, যা অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়।

ম্যাচের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে সাদ উদ্দিন গোল পেয়েই গেছিলেন, যদি না তার শটটি উপর দিয়ে যেতো। কিছুক্ষণ পর মতিন মিয়া অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন, মাহবুবুর রহমান সুফিলের শট ফিরে আসে প্রতিপক্ষের গায়ে লেগে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 Jagoroni TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com