মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসআই ফিরোজ চট্টগ্রাম কোতোয়ালি ডিবিতে উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলম জানান, গত ৮ জুলাই ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুর এলাকায় গোপাল কান্তি নামে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ডিবি পুলিশ ২০ টি স্বর্ণের বার লুট করে এমন অভিযোগে ১০ জুলাই ওই ব্যবসায়ী ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় সাবেক ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ ৩ উপপরিদর্শক ও ২ সহকারী উপপরিদর্শককে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ডিবির সাইফুলের বাসভবন থেকে লুট করা ১৫ টি বার উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায় এসআই ফিরোজ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি কর্মস্থলে ছিলেন না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার দিন এসআই ফিরোজ চট্টগ্রাম থেকে ফেনীর ডিবির সাইফুলকে তথ্য দেন এবং মোট স্বর্ণ থেকে একটি ভাগ এসআই ফিরোজ পাবে বলে তাদের মধ্যে মধ্যস্থতা হয়।
আদালতে ডিবির এক সোর্স জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিলে নোয়াখালী থেকে ডিবির এই সদস্যকে আটক করা হয়। পরে বুধবার বিকেলে আটক এস আই ফিরোজ আলমকে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।