দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর ইয়েমেনে নয় ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইয়েমেনের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালেহ আস-সামাদের হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত নয় ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে
হুতি আনসারুল্লাহ আন্দোলন পরিচালিত ইয়েমেনের টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরা জানায়, ইয়েমেনের ন্যাশনাল সালভেশন সরকার দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। অভিযুক্ত নয় ব্যক্তি সালেহ আস-সামাদের অবস্থান শত্রু পক্ষকে জানিয়ে দিয়েছিল।
আদালতে বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পর শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সানা শহরের আত-তাহরির স্কয়ারে প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
হুতির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আরও জানানো হয়, সামাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে এই নয় ব্যক্তি অভিযুক্ত ও দণ্ডিত হয়েছিলেন। তারা গুপ্তচরবৃত্তি ও স্পর্শকাতর তথ্য সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে জানিয়ে সামাদের মৃত্যুতে ভূমিকা রেখেছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছিল।
রাজধানী সানায় সামাদের রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়স্বজন ও হুতি নেতাদের উপস্থিতিতে ফায়ারিং স্কোয়াডে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সৌদি জোটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর এডেনভিত্তিক সরকারের অনুগত বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধেও লড়াই করছে হুতিরা।
সৌদি নেতৃত্বাধীন কথিত সামরিক জোটের ড্রোন হামলায় সালেহ আস-সামাদ নিহত হন ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে। ওই হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করার অপরাধে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট হুদায়দার একটি আদালত ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে সাতজন খালাস পেয়ে যান এবং বাকি নয় জানের দণ্ড বহাল থাকে।
ইয়েমেনের সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদ বর্তমানে রাজধানী সানা নিয়ন্ত্রণকারী প্রধান নির্বাহী সংস্থা। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ সদস্যবিশিষ্ট এই পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন সালেহ আস-সামাদ। তিনি নিহত হওয়ার পর মাহদি আল-মাশাত তার স্থলাভিষিক্ত হন এবং এখন পর্যন্ত মাশাত এই পদে বহাল রয়েছেন।