মাদারীপুরের শিবচরে অপহরণের ২ দিন পর কুতুবউদ্দিন নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন টয়লেটের ভেতরে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কুতুবউদ্দিন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার ঘাট সংলগ্ন বাগিয়া গ্রামের ইসমাইল বেপারী ছেলে।
এ ঘটনায় ওই শিশুর চাচি নার্গিস আক্তার (৩৫) ও চাচাতো বোন হাফসাকে (১৪) গ্রেপ্তার করে শিবচর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্বজরা জানায়, কয়েক বছর আগে নার্গিস আক্তারের স্বামী আবুল হাশেম বেপারী মারা যান। এর কয়েক বছর পর থেকে নার্গিস আক্তার তার মেয়ে হাফসা ও এক ছেলেকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা গ্রামে থাকেন। কয়েক দিন ধরে তাদের বাড়ির জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে তার দেবর ও ভাশুরদের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই জেরে গত বুধবার সকালে নার্গিস আক্তার তার কন্যা হাফসাকে দিয়ে ফুঁসলিয়ে কুতুবউদ্দিনকে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে নেয়। এরপর একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে নার্গিসের বাবার বাড়ি শরিয়তপুরের জাজিরার নাওডোবায় নিয়ে যায়। সেখানে কুতুবউদ্দিনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাথরুমে মাটিচাপা দিয়ে মরদেহটি লুকিয়ে রাখে।
এই ঘটনায় ওই দিন বিকেলেই শিশুটির বাবা ইসমাইল বেপারী বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে শিবচর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকেলে নার্গিস আক্তার ও তার কন্যা হাফসাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে শুক্রবার ভোররাতে শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডবো থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটির মরদেহ। এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আটক দুইনারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঠানো হয়েছে আদালতে।