খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করেছে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে তারা তুলেছে ২১০ রান। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ২১১ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এ সময় ফিরে যান ১২ রান করা বিলাল সায়েদি। নোর বিদায় নেওয়ার পর প্যাভিলিয়নে ফিরেন ৪৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে থাকা সুলিমান আরাবজাই। ৫২ বলে তার ইনিংসে ৪টি চার ও একটি ছয়ের মার রয়েছে। ২৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান নিয়ে চাপে ছিল সফরকারী দল। সেই চাপ সামাল দেন বিলাল আহমেদ। দলীয় সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। ৮৮ বলের ইনিংসে তার ৩টি চার ও ৪টি ছয়ের মার ছিল।
বিলালের সঙ্গী নাজিবুল্লাহ ১২ রান করে আউট হলেও জাহিদুল্লাহ সালিমির সঙ্গে স্কোরবোর্ডে আরও রান যোগ করেন বিলাল। বিলালকে শিকারে পরিণত করেন আগের ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করা নাইমুর রহমান। এরপর নাভীদ ১০ রানে আউট হলে খারোতে ও ফয়সাল খানের ব্যাটে ২১০ রানে পৌঁছায় সফরকারী আফগানিস্তান। খারোতে ৩৬ বলে ২৭ ও ফয়সাল ৩ বলে ৬ রান করেন। ফয়সাল রান আউটের শিকার হন।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন মহিউদ্দিন তারেক। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাশফিক হাসান, মেহরব ও আইচ মোল্লা, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নাইমুর রহমান।
পাঁচ ম্যাচের বাংলাদেশ এখন ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। তৃতীয় ম্যাচে ১২১ রানের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ১৬ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম ম্যাচটি ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ২২২ রানের জবাবে আফগানিস্তান ১০১ রানে অলআউট হলে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
তৃতীয় ম্যাচে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান সংগ্রহ করতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন আইচ মোল্লা। ১৩০ বলে অনবদ্য ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অন্যদিকে মফিজুল ইসলাম ৯৩ বল খেলে করেছেন ২৭ রান। যুবা অধিনায়ক মেহরাব ব্যক্তিগত ৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানে থামে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।