প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে গোপালগঞ্জে দায়ের করা ১শ’ কোটি টাকার মানহানি মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৪ই সেপ্টেম্বর) মামলার ধার্য তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় কোটালীপাড়া আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩শে ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জামালপুরের নূরু রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগে স্বাধীনতাবিরোধীরা রয়েছে। এছাড়া মামলার বাদী সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট দোলেয়ার হোসেন সরদার ও তার পিতা হাসেম সরদারসহ ২৩ জনকে রাজাকার বলে উল্লেখ করেন তিনি। ওই সংবাদটি ২৩শে ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন ও ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত পত্রিকায় ছাপা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন সরদারের মানহানি হয়। দেলোয়ার হোসেন সরদার ২০১৯ সালের ২০শে জানুয়ারি গোপালগঞ্জ আমলি আদালতে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১০ই ফেব্র“য়ারি রুহুল কবির রিজভীকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে। এই মামলায় অপর দুই অভিযুক্ত দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে অব্যাহতি দেন। এরপর ২ সেপ্টেম্বর রুহুল কবীর রিজভীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত।