বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ নামফলক অপসারণ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোর শহরের একটি রাস্তা থেকে জিয়াউর রহমানের নামফলক অপসারণ করেছে স্থানীয় মেয়রের কার্যালয়।
সে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, একজন সামরিক শাসকের নামে সড়কের নামকরণ করে আমেরিকা তাকে সম্মান জানাবে না।
আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সিআরআই থেকে এ তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, বাংলাদেশের সামরিক শাসক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের নামে রাস্তার নামকরণ করায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ, কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকান ইনক, শেখ হাসিনা মঞ্চ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠন সমূহের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদ জানিয়ে মেয়র অফিসে অসংখ্য ইমেইল, চিঠি ও ফোন করেন আওয়ামী নেতা-কর্মীরা। পরে তারা একটি সাক্ষাৎকার চেয়ে আবেদন করেন।
এ আবেদনের ফলে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ভার্চ্যুয়াল আলোচনার আয়োজন করে বাল্টিমোর মেয়র অফিস। এতে জিয়ার কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগের নেতারা।
ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় যুক্ত ছিলেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, শামীম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শাহ মো. বখতিয়ার, মঞ্জুর চৌধুরী, এম এ করিম জাহাঙ্গীর, সাদেকুল বদরুজ্জামান পান্না, শরীফ কামরুল আলম হীরা, ফারুক হোসাইন, কায়কোবাদ খান, খন্দকার জাহিদুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন জলিল, টি মোল্লা, রোমানা আক্তার প্রমুখ।
বাংলাদেশ থেকে যুক্ত ছিলেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
যুক্ত ছিলেন সিটি মেয়রের প্রতিনিধি ক্যাটলিনা রডরিগেজ, ডেভিড লিয়াম প্রমুখ।
উদ্যোগটি সফল হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী পরিবারের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ড. সেলিম মাহমুদ, ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিব, দেওয়ান আশরাফ, নিউইয়র্কের স্থায়ী মিশনের প্রেস মিনিস্টার নূর এলাহী মিনাসহ সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
তারা আরও বলেন, ভবিষ্যতেও আমরা প্রবাসের মাটিতে যেকোনও অপশক্তির নামে কোনও স্থাপনার নামকরণ করা হলে তা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।