নানা উদ্যোগের পরও কুষ্টিয়ায় কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো ধরনের পরিবহনের সেবা পাচ্ছেন না তাদের স্বজনরা। মাইক্রোবাস থেকে শুরু করে অটোচালকরাও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে গাড়িতে উঠাতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। দু-একটি গাড়িচালক রাজি হলেও ভাড়া চাচ্ছেন ৪-৫ গুণ বেশি। ফলে অনেকে সঠিক সময়ে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করছেন।
দৌলতপুর উপজেলার করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও পরিবহণ নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দিলেন স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ। ব্যক্তিগত অর্থায়নে তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। একটি হট নম্বর থাকবে। রোগীর স্বজনরা ওই নম্বরে ফোন দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স। দৌলতপুরবাসীর জন্য ২৪ ঘণ্টা এ সার্ভিস দেওয়া হবে।
দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজন নোমান বলেন, করোনা রোগীদের পরিবহণে অনেক গাড়ি রাজি হয় না। রোগীদের পরিবহণে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের অনেক জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে।
দৌলতপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম তুহিন জানান, দৌলতপুর উপজেলায় করোনা রোগীর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিবহণে চরম সংকট দেয়া দিয়েছিল। বেসরকারি কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা মাইক্রোগাড়িতে করোনা রোগী পরিবহনে রাজি হচ্ছিল না। এ সংকটময়কালে সাংসদের এ উদ্যোগে রোগীরা আরও ভালো সেবা পাবেন।
এমপি অ্যাডভোকেট আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ বলেন, আমি ও আমার পরিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছি। আমি সুস্থ হলেও আমার বাবা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য আমি হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থাতেও হাসপাতালে অক্সিজেনের জোগান দেয়ার কাজ করে গিয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি খাদ্য সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ও করোনা রোগীদের বাড়ি বাড়ি নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসাসেবা দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন সাংসদ সরওয়ার জাহান বাদশাহ।